লক্ষ্মী নন্দী
শ্রাবণ-(১)
তখন প্রায় ভোর ভোর
একটা কুয়াশার মধ্যে দিয়ে
কাছে এসে তিনি দাঁড়ালেন।
পিঠে তাঁর ছুরির দাগ।
বর্ণ সন্ত্রাসীরা নাকি আঘাত করেছে।
শহরের, গ্রামের,
অলিগলিতে
সারি সারি বজ্রাহত গাছ।
আমি এগিয়ে গেলাম
তাঁর সাথে সাথে।
মনে হল দীর্ঘ পথ।
একটু ঝিম ধরেছিল।
ট্রেনের জানালা দিয়ে আরও
কিছুটা সরল রেখা পার হলাম।
তারপর আরও কিছুটা আঁকাবাঁকা।
এইতো! এইতো ঈশ্বরের বাড়ি।
মানে ঠাকুরবাড়ি ।
যেই বিস্ময় , যেই
সহনশীলকে আমি
বহুবার লাইফ -বোটের মতো
আঁকড়ে ধরেছি।
উথালপাথালের পেয়েছি মুক্তি।
হে স্বর্ণেন্দু, হে
হেমবর্ণ
হে ঋজু, সুঠাম, সুন্দর সুপুরুষ।
বললাম পুনর্বার।
তিনি সারা দিলেন
অঙ্গ থেকে অঙ্গের প্রবাহে।
নামল অঝোর বৃষ্টি।
আশ্চর্য উদ্ভাসে ঢেকে দিলেন
মৃত্যুর করুণতা।
অপূর্ব নৈসর্গিক সৌন্দর্যের
চত্বরে দাঁড়িয়ে - চোখ বন্ধ করে
তার দিকে
বাড়িয়ে দিলাম
দুটি হাত।।
শ্রাবণ- ( ২)
তুমি শরীর ছুঁলেই
আমার সব উত্তাপ
বোবা হয়ে যায়।
আমি সন্তর্পণে
শরীরে হাত দিয়ে দেখি
ঠিক কতটা ভিজিয়েছ।
শ্রাবণ
(৩)
তোমার ভিতরেই লুকিয়ে আছে রাধাভাব।