সুধাংশুরঞ্জন সাহা
অনুভূতিমালা : এক
রাতের দেবদারু গাছ পাতায় পাতায়
বাজে
কান্নাভেজা প্রেমে ।
গোপন ভ্রমণশেষে ছুঁয়ে দেখে
ঠোঁটে লেগে থাকা দহনের দাগ,
ছলাকলার তরবারিতে কুচিকুচি
ভালোবাসা ।
অথবা রন্ধনপ্রণালীর অনুভূতিমালা ।
অনুভূতিমালা : দুই
ভোরের পথে চলতে চলতে রোজই সকালের
দেখা পাই ।
সকালকে দুপুরের কাছে গচ্ছিত রেখে
ফিরে আসি নিজের ঘরে ।
দুপুর নানা রাস্তা ঘুরে বিকেলের
নিকট এলে
আমি বিকেলের সঙ্গে গল্পে মেতে উঠি
।
বিকেল মুখ লুকোয় সান্ধ্য গোধূলির
কাছে ।
আমি সন্ধ্যার কাছে মনখারাপের ঝুলি
নামিয়ে রেখে
ফিরে যাই রাত্রির কাছে, ঘুমের রাজ্যে ।
ঘুমের ভিতর চাকা ঘুরে যায় ....
দর্শনে বিজ্ঞানে মাখামাখি হয়
জীবনের বর্ণমালা।
অনুভূতিমালা : তিন
যাপন ঘিরেই ছিল যাবতীয় নির্মাণ ।
অথচ আজ সব বিচ্ছিন্ন দ্বীপ !
কেউ কারো মনের খোঁজ রাখি না ।
নদীর জল কমছে দ্রুত
ফসলে কীটনাশক
আর হারানো দিনগুলোর
বারুদ ধিকিধিকি জ্বলছে অবিরাম ।
#
আমার একা কাটে সারা দুপুর ।
অনুভূতিমালা : চার
কাঠামোয় যথাযথ মাটি লেপে দিলে হয়
শিল্প।
কিন্তু মাটি ধুয়ে গেলে প্রকাশ্যে
ধরা পড়ে কলঙ্ক।
অনুভূতিমালা : পাঁচ
আমি তো চেয়েছিলাম মাটির সংসার,
অথচ পেলাম দোষারোপের পৃথিবী ।