অভিজিৎ দাসকর্মকার
বিধবা ভাতা...
একটু সকাল হোতেই
কড়া নাড়া দরজা খুলল শ্বশুরবাড়ির
মেয়েটি;
বাঁ হাতে সুর্য-শালিক
ডান হাতে সম্ভ্রমি রান্নাঘর-
সামনে দাঁড়িয়ে দান্তে, হাতে মরচে ধরা Divine Comedy
তাতে হলুদ লাগনো আমন্ত্রণ,
পাশে বেগুনিরঙের ঘাসফুল
ভালবাসা জানানোর বন্ধকতা আজও_____
৭০০ বছরের স্বর্গ-নরকের
অ-রাজনৈতিক যন্ত্রনা নিয়ে আলোচনা
করছেন
আমি নামক বিশেষ অতিথি -
গায়ে পাঞ্জাবি,
সেলাই-এ ঘামজল
শরীর অপারেটেড ঋ- কার...
তবুও অব্যক্ত বক্তব্যগত
শব্দ-স্তবক বিধবার ভাতা নিয়েই
আঁচলের ফাঁক দ্যাখে...
শরীরী পংক্তি
কড়িবরগা থেকে রাসায়নিক আলো
বুকের উপর চোরাবালি তট,
বিলিয়মান রং আর আলেয়ার আলো______
আগলখোলা ২৮ বছর শোয়ানো_____
শরীর কাটা টেবিল-ঘর,গায়ে
শব্দস্তবক উলঙ্গ
মধু ঢালছে আঙুলে---
আকর্ষণীয় সাম্যবাদে ইথিলিনের গন্ধ
আরোও ঠান্ডা অংশও জাড্যের কঠিনতায়____
৩২টি লোব দৃষ্টি চোখে, বিকারহীন
নরম তালু---
চির-ইথারের কোলে ঢলে পড়েছে_____
বিশ্লেষণ হচ্ছে
সেই বটগাছ পাশে রুম
আলোর নিচে টেবিল তলা, এবং
কবিতার শরীরী পংক্তি...
ইয়ে লাল রং কাব মুঝে ছোড়েগা
একটি সাক্ষাৎকারে
লক্ষ্মীর আর পথের পাঁচালি
এবং সমাপিকা থুতনির টোলে
বহুব্রিহী ঢল-চাঁদ
জ্যোৎস্নার কদম ছায়ায় সাকিরা নাচে কত্থক
আলিশা চিনয় ধ্রুপদি
ধনাত্মক সূচকে
বলি-রেখা-পথ
সূর্য ওঠা শালিক
পাউরুটি ঘুগনি
এসব কিচ্ছু না-
প্লাতিনির পকেট থেকে
বাস স্ট্যান্ড মোড়ে
নিরবতা সংগীত গায়
উষ্ণ নীল ট্রাজেডির একটি লাইন
'ইয়ে লাল রং কাব মুঝে
ছোড়েগা.'