ইন্দ্রাণী সরকার
মেঘমল্লার
মেঘের পায়ে পায়ে বৃষ্টি আসে
কাকভেজা উঠোনে জলের ছাপ
সাতরঙ্গা আকাশে ধুসর প্রলেপ
অজানা সরীসৃপের মত একরাশ
আততায়ী ছায়া মিলিয়ে যায়
বহুদূর এক বিভীষিকার মত
শিল্পীর রঙিন তুলিতে একছটা
রঙের আভাষে ভরে যায় পাতা
মেঘমল্লার আঁকা হয় নির্জনতায় |
চেরাপুঞ্জির মেঘ
ঘষা কাঁচের ফাঁক দিয়ে চেয়ে দেখি
একটুকরো চেরাপুঞ্জির মেঘ,
বললো, সব
জল আমার ফুরিয়ে গেছে,
একটু জল দাও না, বৃষ্টি
দিতে চাই |
পথে পথে তৃষিত গুল্মলতা বৃক্ষরাজি
মাঠে মাঠে শুকনো ঘাস, বনবিথী
তাদের তৃষ্ণা মেটাতে মেটাতে আজ
আমি রিক্ত, জলের
অভাবে শুষ্ক |
সে বললো, দেখো
ওই চোখের মাঝে
ডুব দিয়ে, খুঁজে
পাবে অনেক জল,
আঁজলা ভরে নাও....
বৃষ্টি
বৃষ্টি নামে চোখে, ঠোঁটে
পরতে পরতে বক্ষ হতে
বাহুমূলে
নাভিতে গিয়ে জন্ম নেয়
একটা ছোট্ট দিঘী
বড় শান্ত টলমলে জল
আমি দুচোখ ধুয়ে নিই
সমস্ত ক্লেদ মুছে যায়
কি করে বোঝাই
কি করে বলি
সে না এলে ভোরের আলো
ফোটে কি ফোটে না
ফুলেরা লুকিয়ে রাখে মুখ
তার জল জ্যোত্স্না ছুঁয়ে
ভোরের আলোতে মিশে যায় ।