পায়েল দেব
শ্রাবণ
সমুদ্রে যাচ্ছি
তুমি ঝড়ের মুখ ঘুরিয়ে দিও।
জুলাই মাস,গরম
বাতাসে চেপে
ওড়িশার বুকে উদ্ধত মেঘলা দিন নামে
নৌকো-ফেরা জেলেদের ভিড়,রকমারি
ঝিনুক
সংবাদ শিরোনাম শোনায় রেডিও
মির্চি...
বেখেয়ালি ইচ্ছেরা ম্যান্ডোলিনের
বেপরোয়া সুরের মতো
মিশে থাক বালির গরমে...
চারদিকে ধূসরিত মেঘের কান্না
ঘনীভূত হলে
বৃষ্টি বলুক,এটা
আমাদের মধুচন্দ্রিমা নয়
কেবল হাওয়াবদল...
গান
বাউল মেলার দিন দ্রুত পার হতে হয়
গ্রামের সাঁকো
হেঁটে যেতে যেতে অন্ধকার নেমে আসে
তুঁতগাছের বনে
ভাষাও কখন জানি অন্ধকার হয়
পাখির ডাক
পায়চারি
আলোর গলি সব
গাছের মত স্থির হয়ে যায় পথ
উত্তরের এক নক্ষত্র আমাকে টানে
গাছের মত দীর্ঘ,ঘুঙুর
পাখির ডাকের মত রিক্ত হলে
ধারণার জন্ম হয় শস্যের উৎসবে
এমন অন্ধকারেও তোমার নিদারুণ
প্রবাহ দেখি
অসম যৌবন বিস্তার,পরাজিত
সৈন্যদল,
আমার প্রাপ্তি
এতকিছুর পরও মাথার উপরে গান,ভাষার
অন্ধকার
গাছের পাতায় পাতায় ঠেলাঠেলি নিয়ে
অতি দীর্ঘ অসুখের ভেতর দিয়ে হাঁটছি
বরণ
তারপর অবাধ্য ডানায় ভর করে
ঘুরে যায় সামুদ্রিক বাতাস
অনেকটা দূর থেকে দেখা যায়
দু-একটি মন খারাপের কথা
লাল সবুজ ট্রাফিক লাইট
চারপাশ চুপ দিয়ে ঢেকে
কু্প্রথা পাঠায় বনান্তরে
পৃথিবীর প্রাচীনতম গুহাচর বেরিয়ে
এলে
সামনে শূন্যপাত্র বাড়িয়ে দেয়
অতঃপর হাত,আঁচল
অথবা গামছার শেষভাগ
বনসৃজন তুমি ঘরে এসো
দীর্ঘদিন এখানে সুখের একাকীত্ব
ভেতরে আরও কী কী আছে খুঁজে দেখতে
হবে...