লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল
লব
ওড়াওড়ি করা মেঘেরা শুষে নিতে চাইছে
রোদ। ধীরে ধীরে
আকাশে উড়ছে হাজার খানেক ওড়না ; নিঃশর্ত সব জলরং -
তাতে লেপটে আছে বুক ; নিজের
বেদনাটুকু বুঝে নিতে
আমি কত যে তাকিয়েছি অন্তমিলের দিকে
-
সেই কারনে গাছের মাথায় রেখারা
উজ্জ্বল ;
আঁকা বাঁকা ,
পরপর ভেঙে যাই - জেগে উঠি সঙ্গমের
আকার নিয়ে -
ডুব
বৃষ্টি নামতে দেখি , ঘনিষ্ঠ
হতে গিয়ে খুঁজতে থাকি স্কুলের খাতা -
নৌকা বানাবো যে - তারই হৃদয়ে বসিয়ে
দেব সমস্ত পাখির ডাক ,
ভেসে আসছে জল - বসে থাকি জলের উপর
-
আমি আর আকাশ - জেগে উঠি ,
সমস্ত উচ্চতা ভিজিয়ে বাড়াতে চাই
ধ্যানের জমি -
মাথার ভেজা চুল আটকে আছে চোখের
তারায় ;
সুবাসিত হয় শরীর
লব
মুখের উপর আকাশের ছাপ মুছে দিতে চায় ফোঁটাগুলো ,
সুরে সুরে ভেঙে দিতে চায় দরজা -
খুলে যায় সমস্ত
হরপ্পার পাতা- ফুটে ওঠে স্নানাগার ,
আর ওই অংশটিই আমাদের অতীত - বৃষ্টি
ফোঁটায়
বিঁধে যাওয়া শিহরণকেই ঘনিষ্ঠ করতে করতে
পুড়িয়ে ফেলি সব গুদামজাত ক্ষরণ -
ভিজতে ভিজতে তবুও চিৎকার করছে
তৃষ্ণার্ত আলজিভ ,
কেউ কি শুনতে পাচ্ছে -