নাসির ওয়াদেন
ক্ষুধা
পীতলবর্ণের উদ্ধত গন্ধে ঝলসে ওঠে
জিভ
নির্মুক্তির স্বপ্নে অচেতন জালে
সংকটে জীবন
এক টুকরো সবুজ বাতাসও আটকায় ছাদ
স্বপ্নের চারাটি অদম্য ইচ্ছের
কৌতুহলে জাত
ভুখমারি আওয়াজ মাটি পুড়িয়ে পুড়িয়ে
তৈরি করে একটা সবাক গেরুয়া খিদে,
গভীরে ঢাকা আছে ছায়াময় ব্যস্ত
নিয়তি
ছাইচাপা রোদে জীবনমোড়ক উন্মোচিত
হলে
রঙিন জানালা বেয়ে আসে লালস্রোত,অনলে
ধর্ম
আফিম রঙের রোদ্দুর ঘুলে খায়
বাঁকাজল
গাছে গাছে বিবমিষা ফসলের ক্ষেত,
অনন্তের পথ ছুঁয়েছে অপার সৌন্দর্য
এক বিমর্ষ ব্যাকুলতা, আত্মবিশ্বাস
নিয়ে
পাখির নামাবলী গায়ে ,হেসে
ওঠে ঢেউরোদ
নম্রতা বুকের পাঁজরে এক পুরুষের
সাথী
আগুন-চাবুকের ঘা ,বাতাসে
কটুগন্ধ ভাসে
রাতচোরা ডানা ছটফট করে হিমেল
উত্তাপে
বসন্তের গলিপথ হাতছানি দেয় অস্থির
হাওয়াকে
কত কত রাত যে ক্ষয়ে যায় পাখির জগতে
মানুষ
খিদে করুণ বাতাসছায়াকে আটকিয়ে রাখে
জোৎস্নাময় মানবিক ঠোঁটে
আলো হাঁটে বিবর্ণ সন্ধ্যার সংগীতে
মাথা উপর বেলা বয়ে যায়,আনমনে,উন্মুখে
বিছানো ধবল জোৎস্না-চাদর, বড্ড নিরুপায়
ঝুলে থাকা মানবিক রোদের সকালে
মায়াশরীরে একগুচ্ছ বিষাদ,নির্ভেজালে
সন্ধ্যার অস্থির আঁধারে নিঃশব্দে
পোড়ে ও পোড়ায়
যন্ত্রণার সিঁড়ি বেয়ে ওঠে ধর্মরক্ত, মানুষ
খোঁজে
কতটা যন্ত্রণা জমা আছে সকালে আর
সাঁঝে