সুকান্ত মজুমদার
তরল সমাপন
কিছু ভ্রম নিঃসৃত
সম্পর্কের উপসংহার নিয়ে
বৃষ্টি অনর্গল,দেহ
নিরুৎসাহী
তবু মন প্রস্তুত ধৌত হতে।
যেখানে নিমজ্জিত অনুরাগ
সেই প্রাচীন শতাব্দীর
আলগোছে দাড়িয়ে থাকা
ভগ্নদশার প্রতিশ্রুতি।
খুজে না পাওয়া তোমাকে
দিনভর খুজেছি সঞ্চারিত মেঘে
ছুঁতে চেয়েছি তরল সায়াহ্নে,
একান্ত নিঃসঙ্গের অতৃপ্ততা
বিদগ্ধ যন্ত্রণার ছল, যা
কিনা-
কাঁদতে না পারার আভিজাত্য
হয়ে ওঠে শ্রাবণ নির্ঝর প্রলাপ।
আমিই শ্রাবণ
সেই বিনম্র উত্তাপ আর
নিঃস্ব রিক্তের চর্চিত সারাক্ষণ,
খুব বৃষ্টি অস্পষ্ট দৃষ্টিময় ভাষা
তুমি কখোন অনেকটা স্পর্ধা
হয়ে ঝাপটা বাতাসে শিহরণ দিলে -
যে সৌহার্দ্য টুকু নিংড়ে
অপেক্ষমান আমি বিন্দু বিন্দু
বৃষ্টি দিনে রূপক কান্না ছলে
সত্যি কাঁদলাম, আবার
গভীর হ'লো
মেঘ,
আরোও একবার চোখের পাতা
ভিজিয়ে দিলে, ভেতর
ও বাইরের বৃষ্টি
একাকার হয়ে তোমাকেই চাইলো
শান্তনা শান্ত হয়ে উঠলো।
অবশেষে দেখতে পেলাম
ক্লান্তিহীন চারধারে শুধুই শ্রাবণ
-
অবিরাম নিশ্চুপ ঝরে যাওয়া তুমি
আর আশাতীত চুপি কথারা
সব আশারা রক্তিম গোধূলি ওপারে
কালো মেঘেদের দিল আমন্ত্রণ,
তোমার নাবলা কথন প্রমাণ দিল
আমিই কান্না আমিই শ্রাবণ, এখন
ঘোষিত বিপর্যয় অনুরাগ জুড়ে
একটানা শুধুই নির্বিচার
বৃষ্টি।
তুমি হয়ে অবশেষে
সত্যি কি আমি
তোমার বুকের কেন্দ্র বিন্দুতে
একক সুরের তান চয়ন করেছি?
যে ক্রন্দনে ছুঁয়েছি হৃদয়ের
সরল সমাহারে একে অপরকে -
শেষ পর্যন্ত কন্ঠ রুদ্ধ শব্দ
করেছি চয়ন হাতে হাত নিয়ে,
চেনা কন্ঠস্বরে কই এখন
সেই আপন হবার স্বরবর্ণ?
দেহ মনে পরাধীনতার দাগ
চৈতন্যে ভাটিয়ালি প্রেম সঙ্কট
আগুন চোখে এখন শ্রাবণ
একাকীত্বের আদ্র বাতায়ন,
আমি তুমিতে ছেয়েই আছে
কঠিন সে রাত এবং এ আঁধারে।
আমরা সীমাবদ্ধ বাসনা ঘিরে
পর্যুদস্ত বিবেক খিলখিল হাসে
তা যেভাবে ভাবাই,সে
ঘোরে চলছি
নীতি তার দুইবেলা প্রতিক্রিয়া হীন
অনবরত বুকের রুদ্ধ দরবারে
শান্তির প্রতিধ্বনি বারিধারা,
তার সে চলে যাওয়া পথ এখন
আবছা চাওয়ার ঘোলাটে আলো
খুজে না পাওয়া সে পরিচয়ে
তুমি হয়ে প্রলুব্ধরত ধৌত অবসাদ।