তাপসকিরণ রায়
তোমার মুঠোয়
অজানা পথ
তবু ঘুরে ঘুরে তোমার ঠিকানা
ভ্রম নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মিশে গেছি
একটা গবেষণাগারে
সেখানে ভালবাসা চাষ হয়
আনুষঙ্গিক ফুল চাষে মন দিয়েছি
মালা হাতে সন্তানেরা ঘুরে
ফিরছে।
ঘরের ভালবাসা তাড়িয়ে নিয়ে
বেড়াচ্ছে--
দীর্ঘ ভালবাসা ধরতে একটা চালাঘর ও
বৌয়ের সৃষ্টি,
শক্ত মাটিতে সে স্বামীর বীজ
বুনছে।
খুনসুটিতে ভালবাসার গন্ধ
একটা মজা কাঁঠাল
রগড়ানো তেলের মাঝে ব্যভিচারী গন্ধ
বের হচ্ছে।
ফুড়ুৎ
সময় ও সুযোগের
পকেটের বাঁধা প্রেম পত্র
গুঁজে দেওয়া হল না আর তোমার
মুঠোয়।
বেজন্মা
আগাছা
পতিত জমিতে ছড়িয়ে যাচ্ছে
আনন্দ পুলক
পাতাল নদীর জল সেঁচন হয়ে যাচ্ছে
জীবন ঘোটালা পাকাচ্ছে
বেজন্মাদল।
হ্রেষা ধ্বনি
বয়সকে ধরা যাবে না
পুলকিত ধ্বনিগুলি অন্তহীন
শৈশব, কৈশোর
যৌবন ছিঁড়ে আবার জুড়ে যাচ্ছে
অনায়াস স্বপ্ন
নদীর ভেসে যাচ্ছে
হ্রেষা ধ্বনিতে তোমার বয়েস ধরা
যাচ্ছে না !
প্রসব
আগুন
তুমি সমাপ্তি।
তবু জেঁকে নাও শীতাতপ উষ্ণতা।
কিছু নেই
একটা তারতম্য নাতিশীতোষ্ণ
প্রেমিকা
জলজ লিলির মত ভাসমান শরীর
তোমার তলদেশ চিরে
সন্তান
কষ্ট প্রসবে মা ফিরে আসে।
বাসনা
বাসনা
আসলে ধোঁয়া,
তুমি বারবার হাত মারলে
অস্বাভাবিক শ্বাস নিতে নিতে
একটা নারী বেরিয়ে আসছে।
রাজা
আঘাত
বাস্তব পৃথিবীটার অনুভব নেই
ব্যাঘাত তুমি নিদ্রাহীন রজনীর অসফল
নায়ক
এক জাগায়
আমরা সবাই নায়ক
একক।
নায়িকা থাকছে
সে বেড়ে উঠছে কোন এক রাজার দেশে
রাক্ষস না হলে একটা কাহিনী পূরণ
হবে না
আর নায়কের পঙ্খিরাজ ঘোড়া চাই
মাঝখান বিঘ্নতার অনেকটা সময় কেটে
যায়
দীর্ঘ দু আড়াই ঘণ্টা সময় হনন করে--
আঙ্গুল কামড়াই, ভাবি
বিকল্প কি কিছু করা যেত !
কাজের ওপর পোক্ত একটা বুনিয়াদ
লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের নামে একটা
রাজপ্রাসাদ গড়ছে
হারেমের রাতকক্ষগুলি নারী
নিদ্রাহীন
হিংসা কিলায় হঠাৎ যুদ্ধ নামে
ঘুমন্ত সৈনিকেরা জেগে উঠছে
পঙ্গপালের মত দাউদাউ পাখনা পুড়ছে
খয়রাত, একটা
রাজা থেকে আরও একটা রাজা প্রসবিত হচ্ছে।
স্বপ্ন
স্বপ্ন।
তুমি বেঁচে আছো
মাঝরাতে ঘুম ভেঙে তুমি সঙ্গম করো
দিনের মেঠো পথ তোমার রাজপথে মিলিয়ে
যায়।
কিছু জ্বলে যেতে দেখলে ব্যথা পাও
খা খা রোদ্দুরে মনে হবে তোমার শরীর আছে
সাদা কাপড় জড়িয়ে তোমায় লম্বা পড়ে
থাকতে দেখে
আমি আঁতকে উঠি।
দেওয়ালের ছবিতে বিগত মানুষদের লটকে
থাকতে দেখি।
ছবি হতে কেউ চায় না।