রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯

মতিউল ইসলাম


মতিউল ইসলাম

যেতে পারি যাব বলেই
     
তারপর বললে চলো
উঠে পড়লুম চলো বলে,
বিস্মিত হয়ে চেয়ে রইলে
চোখের তারায় কাজলের মতো ভয়,
করুণ প্রার্থনা চেয়েছিলে
কাকুতি মিনতি।

তাড়া দিলাম চলো
অবাধ্য ঘোড়ার মতো তবু স্থির
যেন চিত্রশিল্পীর ক্যানভাসে
বিরামহীন তুলির আঁচড়,
যেন ভাস্কর্যের জীবন্ত নিদর্শন,
সেই থেকে পা বাড়িয়েই আছি,
আর তুমি, বিগ্রহ হয়ে নিশ্চল।







ট্রেলার

গাঁজার ছিলিমে জোরসে টান দিয়ে
বন্দেমাতরম বলার জন্য দম লাগে,
পেঁয়াজের খোলস ছাড়াতে ছাড়াতে
পড়ে থাকে শুধুই শূন্যতা।

শূন্যতাকে দেশপ্রেম দিয়ে গুন করলে
আস্ত সিংহাসন,
উজির আমির পটেটো চিপস।

চিপস্ আর রঙিন পানীয় পৌনঃপুনিক
সম্পর্কে আবদ্ধ,
নারী বরাবরই সম্পত্তি হয়েই অবস্থান করে।

গাঁজা টা কখনোই রাজকীয় সম্মান পেল না,
বন্দেমাতরম উচ্চারণ করতে গিয়ে কতোজন
রক্ত উঠে পগার পার।
সে গল্প এখন থাক
বাহুবলী থ্রী, ট্রেলার।






গোড়ার গলদ

ঝোলাতে ভরে রেখেছি ভাঙা ঘাটের চুপকথা,
এক কিলো জোৎস্নার বিনিময়ে
একটা দিনেের  রূপকথা কিনতেই
ঝোলা ভরে ওঠে ডাইনি বুড়ি,ক্ষীরসাগর
ব্যঙ্গমা ব্যঙ্গমী আর দুই কাঠি।
আস্তে করে ঢুকে গেলাম ঝোলাতে,
পক্ষীরাজে চড়ে ছুটছি ছুটছি
পিছনে পড়ে রইলো
আমার সব না পাওয়া।
হঠাৎই স্মরণে আসে
কচুর পাতায় মোড়া প্রাণটা ফেলে এসেছি
জোৎস্নার গভীর অন্ধকারে।

 




মৃত্যুযন্ত্রনা

রাতটা পা হড়কে মাটিতে পড়ে যাচ্ছে বারবার,
সোজা হতে চাইলে আবার আছাড়!
একটা অক্ষর জমা হয়নি সেভিং একাউন্টে,
ই এম আই বেড়েই যাচ্ছে কর্কট রোগের মতো।

কেমো চলছে ঢুকছে বিষ
পুড়ে যাচ্ছে বিষাক্ত পংক্তি,
পুড়ে যাচ্ছে পৃথিবীর যাবতীয় নরম ঘাস।

ছন্দ অলংকার ভেংচি কাটছে
বুভুক্ষু হয়ে পান করছি মহাজনের অপমান।

মহাকাল সাক্ষী কবিতার মৃত্যুযন্ত্রনা।







আইনের ফেরে

নদীটা কখনো মেয়ে কখনো অভিমান,
তিরতিরে জলে খেলা করে হাজার স্বপ্ন,
প্রতিটি ছোট্ট স্রোতে সমুদ্র মাখার ইচ্ছে
নদীটা কখনো মেয়ে কখনো চুপকথা।

পাগলী নিজেও জানে কি
সমুদ্রের নোনাজলে হাজার নদীর সলিলসমাধি,
বহুগামীতাটা কখনোই পুরুষের একচেটিয়া নয়,
সমুদ্র কখনোই কোন নদীকে আহ্বান করেনি,
সমুদ্র চরিত্রহীন হয়েই রয়ে গেল।