দেবযানী বসু
মেঘপ্রসাধন
বৃষ্টি বয়ে বয়ে মেঘপ্রসাধন
বয়ে বয়ে চুল আর কেশ
মৈথুন পতনের বদলে উর্ধ্বে ভাসে
আঁচলআকাশ... জন্মের রক্তপ্রপাত ধরে
রাখে
ছাইমাটির ছবি নাম নিয়েছে
মৃত্তিকার
লতার ডগা হওয়া আনন্দ ধরে রাখি
ছাদের শ্রাবণীবঁধু লতা অভিসার শেষে
রেমাপানিসা বেয়ে আকাশেই ফেরে
চোখে পাতা কাঁঠালপিঁড়ি
চোখে পাতা নিকন ডি ৫০০ এর নিকোনো
উঠোন
খুনীমেঘ
দশটা রাত ঠিক সময়
বাদুড়ের উড়ে যাওয়া
আর বয়া থেকে বয়ায় লাফিয়ে
লাফিয়ে
তোমার এসে পড়া
বাতাবি লেবুর চিড়িক চিড়িক ডাকে
জলের বলখেলা
আকাশি নীল সুতোয় সমস্ত সিজার করা
তলপেট
নিশ্চিত যে বৃষ্টির তিন তারিখটি
নিয়ে ধন্ধে খামোশ
কাঁচা রক্তের গন্ধ
শেষ শটে রাত্রি অনেকটা উপরে উঠে
যায়
জলে ভাসানো ফুসফুসে চড়ে বসেছে
মোমো আর তিমি
চিলেকোঠার চৌকাঠে শাটারের তীব্র
গতি
চাতক সাজতে এক বিন্দু পরম আর্দ্রতা
বাকি ।
চন্দ্রানী মুখ তন্দ্রানী মেঘ
ব্রোঞ্জ আলো পড়েছে গালে
অনেকটা সময় নিলে ছাই ওড়াতে
বরাটভূমির বাঘচোখে কাজল
জলের তোড়ে ধুয়ে যাচ্ছে
সারাজীবনের এঁটোকাঁটা
তখনো জানলার শিকে ঈগলবাদামি
জলবিন্দু
গোলাপের বারোটি ঋতু জমা আছে
ভূতশ্রীর কাছে
কলম ও কালির চক্রান্তে থিম উড়ে
গেছে
পূর্ব জন্মের মেঘ এ জন্মে ফিরে
বানায়
কবিতার থ্রিডি চারুবাসনা
দোপাটির ছিটকে পড়া বীজের হাসি