রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯

বিদ্যুৎ মিশ্র


বিদ্যুৎ মিশ্র

বাউল

অনেক দিন পরে ক্রমশ বাদল কেটে সূর্য ওঠেছিলো
একতারা হাতে গান করতে করতে বাউল
কখন যে গ্রামের আলপথ ধরে মিলিয়ে গেলো
বুঝতে পারিনি। আসলে আমি তখন দৃষ্টির বাইরে
চোখ রেখে দেখছিলাম তার হারিয়ে যাওয়া।

আজ আবার অনেক দিন ক্রমশ যখন সূর্য উঠলো
ঝলমলে আকাশ পরিস্কার। আমি জানলার
পর্দা সরিয়ে রাস্তার উপর চোখ রেখে সেই বাউলটাকে
খূঁজেছি ভীষণ ভাবে।সেই আলপথ তেমনি পড়ে রইলো
সেই বাউলটা আর আসেনি।








একা

অনেক দুর থেকে শুধু হেঁটে এসেছি বদ্ধ জলাশয়ের
কচ ঘেঁসে বুকে হাজার তৃষ্ণা নিয়ে
মাথা নিচু করে শুধু চাতক পাখির মতো তোমাকে
চেয়ে এসেছি। বিনিময়ে নিজের মতো করে
বাঁচার কিছু রাখিনি তবু। আঁধার হলে জোনাকির
মতো নিজেকে নি:শেষ করেছি আগুনের কাছে
এক মহুর্ত বুঝতে পারিনি শুধু মরীচিকা ঘেরা
তেপান্তর ঘুরে ফিরে আসতে হয় নিস্ব হয়ে একাই।








চন্দ্র মল্লিকা

এখনো আমি দেখতে পাই রোদ ঝলমল ছায়ায় ঘেরা
সেই বাগান বাড়ি। সামনে বেশ কিছু চন্দ্র মল্লিকা ফুটে
শোভা বাড়িয়ে আছে আগের মতো। দেখতে পাই
হাত ধরে ছুটে চলেছে দামাল কিছু প্রজাপতি; একটু
রোদ মাথার উপর এলে ঝিমিয়ে পড়ে চন্দ্র মল্লিকা।

নতুন নতুন অনেক প্রাচীর এখন ঘেরা হয়ে দৃষ্টির বাইরে সব কিছু
তবু মন দিয়ে অনুভব করে দেখতে পারি।
প্রজাপতিরা ছুটে চলেছে হাত ধরে আর
একটু রোদ বাড়লে ক্রমশ ঝিমিয়ে পড়ছে চন্দ্র মল্লিকা।