শ্যামলী রক্ষিত
রজনীগন্ধা ফুটত মনে
বর্ষার জল রেখেছি অঞ্জলি ভরে
তোমার শরীরের সব কান্না ধুয়ে দেব
বলে।
আগলে রেখেছি আমার প্রাক্তন বারো
মাস্যার
মহাকাব্য।ফিরে এলে উঠোনে বসাব
মঙ্গল ঘট
চন্ডী মণ্ডপে ম্যারাপ বেঁধে ,কবির
লড়াই হবে
হ্যাজাকের আলোয়।
ফিরে এসো সময় ,কদম
বনে উই আসুক
আনকোরা বর্ষার দিন।ঘরে ঘরে
চূড়ান্ত নাজেহাল
নাখেতে পাওয়া প্রবাস জীবন।
সেই হাভাতে সুগন্ধে বেপরোয়া দারিদ্র্য
কেমন মলান হয়ে ঘুরে যেত দিগন্তের
গোধূলি আকাশের কাছে।
প্রবল বর্ষা দিনে কামিনীর গন্ধ
নিয়ে ফিরে আসত বাবা।
শহরের গল্পে গল্পে তখন রাতের
রজনীগন্ধা ফুটত মনে।
বৃক্ষরোপণ
প্রহর শেষ হয়ে এল এবার
দিগন্ত থেকে ভেসে আসে
শংখধ্বনি ওই।
শেয়ালের উৎসব শেষ হলে পর
নেমে এসো সময়,
দৈনন্দিন সীমা রেখায় বাঁধা
নদীটির তীরে। ছলাত ছল
দুকুল ছাপান বর্ষার প্লাবন।
যৌবনভর স্বপ্নহীন রাত্রি
চলে গেছে একদিন।
জলজ প্রেমে বিভর
কিশোরীর চোখে
শ্রাবণ মেঘের ছায়া।
বিরহী যক্ষ্মকে খুঁজে ফেরে
পাগল বাতাস আজও,
হিসেব নিকেশের গন্ডি ভাঙে,
চূর্ণ বিচূর্ণ শব্দ ওঠে তার
মধ্যিখানে স্বচ্ছ জল ধারা
প্রতিচ্ছবি নিরন্তর ভালবাসার।
বয়ে যায় হৃদয় থেকে
অন্য এক হৃদয়ের তীরে।
চন্দন বনে সুগন্ধ মেখে
সবুজ স্বপ্ন ছড়ায় - - - -
ফিরে এসো শ্রাবণ
শ্রাবণের মেঘ হয়ে নেমে এসেছিল যে
প্রেম
অহর্নিশ ভাসিয়ে নিয়ে যেত মাতলার
জোয়ারের মত
বেপরোয়া আলিঙ্গনে।
তার কাছে নতজানু হয়ে আঁচল পেতেছি
আজ এই অস্তমিত যৌবনের কিনারায় দাঁড়িয়ে।
অবগাহন স্নানে ভিজে যেতে ইচ্ছে করে
।
সেই ফেলে আসা কিশোরী দামাল দলছুট
গ্রামের পথে ঘাটে ঘুরে ঘুরে শ্রাবণ
তছ নছ করে
খাবারের খোঁজে কেটে যেত সারা বর্ষা
তার মাথার উপর দিয়ে।
সেই সব দিনের মত
ফিরে এসো তুমি শ্রাবণ।
বর্ষমঙ্গল রচনা করি আর একবার
অমলিন সেই হাভাতে জীবনের।