ঝুমা মল্লিক
ভেজা শ্রাবণ
উঠোন জুড়ে কত কত মায়া ছড়িয়ে ছিটিয়ে
।
মেয়ে তার সংসারের খুঁটিনাটি গুছিয়ে
রেখেছিল।
সেই সব মায়া ত্যাগ করে চলেছে সেই
মেয়ে।
বৃষ্টিতে ভিজে উঠোন।এক শরীর নীরবে
ঘুমিয়ে।
সাদা লাল শাড়িতে, জুঁই
ফুলের মালাতে।
চন্দন তার কপাল জুড়ে। সিদুঁর মাথা
জুড়ে।
ধূপ দ্বীপ সাজিয়ে রাখা। মুখে হাসি
মাখা।
বাতাসে বইছে সুর। শ্রাবণের ধারার
মতো।
সম্পর্ক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ধূলোর
মতো।
ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে ভিজতে ভালোবাসে
মেয়ে।
সেই বৃষ্টি সুখে ভিজছে তার শরীর।
যাবার বেলা।
একবারে ভিজে গেল মেয়ে। চলে গেল।
শ্রাবণের শেষ বেলায়। হেরে গেল
মেয়ে।
শ্রাবণ সন্ধ্যা
পশ্চিমের আকাশে যে সূর্যটা অস্ত
যাবে
সে জানবে শ্রাবণ সুখ।
লালচে রঙ ধরা জীবনে, ওই
লাল রঙা সূর্য দামী।
নিমেষে সন্ধ্যা ঘন হয়।
ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে।
একতারা হাতে বাউল ভিজছে সেই পথে।
শিমুলের ডাল বেয়ে,কোকিলের
গাল বেয়ে।
একটু একটু করে ভিজে যাচ্ছে সব।
আঁচল ভিজে গেছে। ভিজে গেছে কঠিন
শব্দ।
উপেক্ষারা থৈ থৈ জলে।
শ্রাবণ জানবে নীরব রাতের গল্প।
চোখ এখন বিশ্রাম চাইছে।
শ্রাবণ সুখে সুখী হতে চাইছে।
শুভ আষাঢ়
আষাঢ়ে আশা জেগে ছিল মনে।
দক্ষিণের কোনে এক সুখ রেখেছি
গোপনে।
উত্তরের হাওয়াতে আজ নেই কোন শোক।
শুকনো পাতাতে লুকোচুরি খেলে এক
প্রজাপতি
ও কেমন ভুল করে আনন্দে।
স্বপ্নের বারান্দায় খেলা করে,
নতুন স্বপ্ন বোনে। চিনবে আমায়।
আজ মেঘের নিমন্ত্রণ।
বৃষ্টি এলে বরং ভিজবে চোখ।
দু এক পাতায় পদ্য লিখাবো সুখে।
অপেক্ষা শুধু তোমার।
তুমি এলে বরং ভিজবে গোলাপ চারা।
ওরা শুধু চেয়ে আছে। চাতকের দল।
তুমি এলেই সুখ ভিজিয়ে দেবো জলে।
তাই এসো ।
ভিজিয়ে দাও মাটি।এসো ধ্যানস্থ হই।
আয় বৃষ্টি আয়। আয় বৃষ্টি আয়।