শর্মিলা ঘোষ
শ্রাবণ
বোহেমিয়ান শ্রাবণ জুড়ে হ্যালোজেন
বৃষ্টি নামে
ভিজে যায় আগামীর প্রেম ,
কোনো একলা পথিক হাঁটুজল ভেঙে এগিয়ে
চলে
অষ্টাদশী রাতের সাথে সখ্যতা করবে
বলে ;
একটানা শ্রাবণ ধারা নেমে আসে
ছন্দের মতো,
আনন্দের ময়ূরী নাচে ভেজা অলস
কার্পেটে,
ঘন কালো মেঘের বুক চিরে স্ফটিক ঝরে,
ফ্লাশব্যাকে জেগে থাকা বিষন্ন রাত
নতুন জলে ভিজতে থাকে অনবরত।
পাঁচমিশালী
পৃথিবীর সব প্রেম পাশ ফিরে শুয়ে
থাকে
একটা নিটোল আটপৌরে দিনলিপি কাটিয়ে,
চুঁইয়ে নামে হরিদ্রাভ রঙের
বিলাসিতা, সেখানে
পরস্পরের বেদনা ব্যবচ্ছেদ হয় অনবরত,
একটা আস্ত জীবন কেটে যার পৌনঃপুনিক
হিসাব করতে
কতটা ছাড়লে তবে সংসার সমুদ্রের ঢেউ
পুরোদেশীয় বাঁধ তৈরি করে,
পাঁচমিশালী দুঃখ দাগ কাটে রোজনামচা
মানচিত্রে,
একঘেঁয়ে ক্লান্ত অবসন্ন দুটো হাত
তবু ধরা থাকে হাতের ছায়া ঘেরা বাসায় ।
শাখা প্রশাখা
মাটির বুক চিরে বসিয়ে দিও কিছু গাছ, সবুজ
পৃথিবীর স্বার্থে,
কবিতার খাতার পাশে রেখো কিছু
পাতাবাহারের টব,
ক্লান্ত বিকেলের কাছে ছুঁড়ে দিও
কিছু বেলকুঁড়ি,
বিছানার পাশে এলোমেলো কিছু পাপড়ি,
যার সুগন্ধী আবেশ নরম ঘুম নিয়ে আসে,
শোষিত অবসন্ন পৃথিবীকে নতুন করে
সেচন করতে
মানবজমিনের ওপর গেঁথে দাও রঙিন বীজ,
যার ত্বক ফেটে বের হোক আগামী
প্রজন্মের শাখা প্রশাখা।