সুদীপ ঘোষাল
দহন
প্রেমের বিশল্যকরণী চাই প্রেমিকার
কাছে
শতরূপে ছড়ায় খান্ডবদহনে উষ্ণতা দেহ
প্রবল ঘূর্ণি বর্তুলে দিশেহারা
নাবিক
নৌকার হাল হারায়
দূর্বা ঘাসে সজ্জিত কাম অঙ্গ
রাই কিশোরী খেই হারায়
সুতো বোনে তাঁতকলে গোপন গোপাল
ওহ প্রেম বাঁশি মরমিয়া কানু
গোঠের মায়া টেনে আনে সুরের
রাধা
ছাতা
দুটো বলদের মাঝে লাঙল ঝুলিয়ে
ক্ষেতে যান বাবা
গামছায় পুঁটুলি করে বাঁধা গুড়,মুড়ি...
মা রোজ দেন, জলখাবার...তিনি চলে যান
কাজে।
মরা বানের জলের মতো...
পিছন থেকে আমি আর মা দাঁড়িয়ে দেখি
বাবার আশার চলন,পিছু ফিরে তাকান আমাদের
দিকে...
তারপর বিন্দু হয়ে মিলিয়ে যান ধীরে
ধীরে।
আমি আর মা অন্যমনে গৃহকাজে মাতি।
বাবা রোজ রোদে ঘামেন। বর্ষায় জলে
ভেজেন
মা বলেন,বাবার
কোনো ছাতা নেই
অথচ সমস্ত পৃথিবীর মাথায় ছাতা ধরে
থাকেন
আমার বাবার মত কৃষককুল...
মহার্ঘ
ভাবনাগুলো এত অগোছালো সবুজ পাতারা
ছড়িয়ে ছিটিয়ে
হলুদের অস্তিত্ব কানায় কানায়
বিন্যস্ত
শরবনে মর্মর বায়ু বাদকের ভূমিকা
ছেড়ে বিলুপ্তির পথে
বৃষ্টি নেই বর্ষায় উদ্ভিদের
উদাস অবহেলায়
কষ্টগুলো হাওয়ার ওড়া চুলের ছন্দ
খোঁজে
ভিতরে ভিতরে পাতা খসার খোঁজে বৃদ্ধ
আড্ডা
আলোচনা আবেগে মিশে যায় মন খারাপের
চাঁদ
হে আরম্ভ হে সমাপ্তি গীতিকার
খুঁজে বেড়াই সময়ের সন্দেশ মিঠে কড়া
মৃত্যুর ছায়া
শুকনো মৌসুমে বিশাল পাহাড়ের
অনিশ্চিত পথ
সপ্তাহ যায়, আসে
মাস মাইনের খেরোর হিসেব
কখনও বাহান্ন বসন্ত জেতে লড়াকু
জীবন
হে অনন্ত বেহিসেবি জীবন জোয়ার
নিয়ন্ত্রণ যানে ভাসে সমীরণ, অনন্ত সময়ে
কে কখন রাস্তা গড়ে, পথের
ঘাসে আনমনা