শ্রীলেখা মুখার্জ্জী
বৃষ্টি (১)
রিমঝিম ঝিম স্ফটিক মোড়কে ,
জমা আছে মেয়েবেলা বন্য সবুজ আরকে।
ফেরত দেবার শর্তে বর্ষা ধান
মেপেযুপে নয় , উন্মোচনে
নগ্ন ধারাস্নান।
জলজ মেঘ ঠোঁটকাঁপা আবেগে ,
পা ডোবানো ফুটপাথ। কারফিউ শুধু জেগে।
জলেভেজা ট্রাম মুঠোয় বাদাম ,
মেঘলাদিনে বিকেলটিও, জামরঙা
দরদাম।
আষাঢ় বুকের নিভৃত এ কোরকে
বৃষ্টি ঢেকেছে মেয়েবেলা টান যত্ন
মোড়কে।
'
বৃষ্টি(২)
ফুরিয়ে যেতে যেতে
বেলাশেষে ভাঙাচোরা বিকেলের মতো
নিজেকে দেখি পুরোনো আর্শি তে
কোদাল কোপানো খণ্ড খণ্ড মেঘের
ছায়া
জীবনের ক্ষতগুলো মলম খোঁজে টুকরো
মেঘে,
ছায়াশরীরের শীতলতায়…
কপালের বলিরেখায় বিকেল হারিয়ে
যায়
রাত নেমে আসে,
ঘনকালো চোখের চারিপাশ ;
ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘে আলো বাসা বাঁধে
বৃষ্টির পূর্বাভাস
হাওয়া ছুঁয়ে যায় আমার রূপোলী
চুল,কিছু দাঁড়ি কমা
অনুভবের শিকড়ে ভিজে মাটির ঘ্রাণ
দৃশ্যপটে একটি নিটোল ভিজে যাওয়া
রাত
আজকে বোধহয় বৃষ্টি আবার ভেজাবে
মুষলধারে—
‘
বৃষ্টি(৩)
জানলার কাঁচে গল্প লেখে
বৃষ্টিফোঁটা
ফেটে যাওয়া হলদেটে চিরকুটের গল্প ,
প্রথম প্রেম…
সুখদুঃখের মোড়কে প্রতীক্ষার
জবানবন্দি ;
সাড়ে বত্রিশ ভাজার মতো মুচমুচে
অতীত
এখন মিইয়ে গেছে সময়ের বেনো জলে
প্রতি আষাঢ়ে জানলামুখো হয়
গল্পগুলো ;
মেঘের বর্মিবাক্স তে
স্তুপাকার সব অসমাপ্ত উপন্যাস…
যারা , ভূমিকার
হাত ধরে এগোনোর রাস্তায়
উড়োখই হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে এদিক
সেদিক ;
বৃষ্টিকণায় ডানা ভিজিয়ে গল্পরা
ফিরে আসে
ঘনঘটার প্রতিটি মরসুমে
বর্ষাতি ছাড়াই ,
ফোঁটাফোঁটা জানলার শার্সিতে—
‘