সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়
একাদোষী।
বৃষ্টিরাত
অকস্মাৎ
মনকেমন
বৃষ্টিদিন
সৃষ্টিহীন
উত্তরণ
ক্লান্ত চোখ
জমছে শোক
দু’পারে
ঝগড়া হোক
কান্না ঢোঁক
চুপসারে
মিসড কলে
যাক চলে
খোঁজখবর
নেই সাড়া
কষ্টেরা
স্বার্থপর...
চিয়ার্স
আজ আবার
রাত কাবার
মেঘ ঘোমটায় মুখ
নিরুদ্দেশ
সেই আবেশ
কয়েক ছটাক সুখ
এমনিতেই
সব স্রোতেই
উজান ভাটির টান
সব সুরে
খুব দুরে
একলা থাকার গান
একতারায়
পাই সাড়া
পাগলা মন বৈরাগীর
হৃদমাঝারে
বাস করে
অজান্তে কোন ভন্ড পীর
নিস্ক্রমন
উত্তরণ
মুখমুখোশ ভেকধারী
ফর্দাফাই
পর্দাটাই
মাতাল হাওয়া আবগারি
বন্ধু চল্
দলবদল
যাই ভুলে সব গ্লাসে
বিষ মেশাই
হোক নেশা
ফের মাতি উল্লাসে।
বর্ষারাগ
মাসকাবারি’র
ফর্দে থাকুক বৃষ্টিদিনও,
মেঘলা মনের হিসেব করুক পর্দাগুলো,
লোডশেডিং-এর আলোয় সাজুক শহরতলী-
উড়তে থাকুক রঙ-বেরঙের স্মৃতির
ধুলো।
আয় না আবার বয়স ভুলে খেলায় মাতি
মোমবাতির ওই নরম আলোয় ঝলমলে রাত,
ফরসা হাতে নীল কলমের প্রজাপতি,
নিভলে আলো শরীর জুড়ে জলপ্রপাত।
একটু ছোঁয়া থাকুক লেগে বুকের কোণে,
কংক্রিটের এই রাস্তা ভিজুক
সোহাগজলে,
একটা ছাতায় আবার না’হয়
দু’জন ভিজি,
ঠান্ডা লাগার ধাত উবে যাক
মন্ত্রবলে।
শ্রাবণ-সুখের গান
সেও জানে এই শ্রাবণের অন্য মানে,
মেঘলা মনে জল ছোঁয়ানো অভিমানে,
কেমন করে একলা আকাশ আড়াল খোঁজে,
বৃষ্টিফোঁটা কি দিয়ে যায়
প্রতিদানে।
সে এও মানে অন্যরকম পারত হতে,
মাতাল বাতাস গান শেখাত শ্রাবণ
স্রোতে,
বৃষ্টি ভেজা ফুলের কুঁড়ি লজ্জা
পেত
সুখের ঢেউয়ে ভাসতে গিয়ে দিনে রাতে।