সব্যসাচী পণ্ডা
দহন দিনে
রাতকে জিজ্ঞেস করলে
সে তপ্ত দিনের কথা বলে
দিন আবার বলে ঘর্মাক্ত রাতের কথা।
আসলে এভাবেই নিদারুণ বৃষ্টিহীন
দিনযাপন আমাদের।
খঞ্জনি বাজিয়ে যে বোষ্টুমী
প্রভাতী গায় অলস ভোরে,
রাত জাগা ঘুমের ভিতর
আমি তার গান শুনি,
শয্যা ছেড়ে বারান্দায় দাঁড়াই,
রুদ্র রোদ ক্রমশ স্পর্শ করে আমার এ
পোড়া দেহ,
এ পাপ মন।
এখনও প্রাণের ভিতর বেজে চলেছে
খঞ্জনির গান-
“এই দহনে যত পাপ মোর পুড়ে
হোক ছাই।”
মেঘকে লিখছি
আকাশভেলায় নতুন মেঘকে ডাকছে পুরাতন
মেঘ।
ফুসমন্তরে তার বুকখোলা হাওয়াই
শার্ট।
যেমন খুশী মাড়িয়ে যাচ্ছে সে
বড়বাঁধ,গাছমেজিয়া
আর পচাকাঁন্দির
মুগ-মুসুরের ক্ষেত।
দোল দিলাম এই হাওয়ায়।
মেঘের সাথে মেঘের প্রেমে
পূর্বাচলে তাকিয়ে দেখি পথ নেই আর
ঘর খোঁজার
পশ্চিমেও নেই অস্তে ফেরার
তিলধারনের জায়গা।
ঘর নেই আর আমার এখন
প্রেম নেই কোনো, এমনকি
আকাশও নেই
এখন শুধু মেঘ আর মেঘ
বায়ু বেগে ছুটছে তারা
আর আমি কোনমতে সামলে নিচ্ছি
বুকখোলা হাওয়াই শার্ট।
আপাতত এখন বৃষ্টিতে ভিজে একশা হব
তারপর না হয় তোমার জন্য
দু'একটি কবিতা রচনা
করবো আবার।
সাঁতার
অন্তহীন কালো জল।
দাওয়ায় শুয়েছে নদীটি।
অস্ফুট শীৎকার তার,
স্বপ্ন ভেঙেছে কাল।
গহীন মেঘে মেঘে
বিদ্যুৎ। দাঁড় ছপছপ।একলা খেলাঘর
তরঙ্গ তোর মাথার উপর
ঝাঁঝরি খোলা জল।
আমার মাথা ভিজছে
নদী তোর জল ফোঁপানো কান্নায়
আর কান্না কেন
ভাসিয়ে দিয়ে,সবকিছু
কুড়িয়ে নে
কুড়িয়ে নে তোর পোশাক-আশাক।
আমিও জানি এই মলিন রোদে
তোর সাথে অযুত বৎসর
অথবা সব ঝাপসা---
আমি ত্যাগ করিনি কিছুই তোর
এমনকি উত্তাল ঢেউ।
ও নদী,ও
মেয়ে তুই চুপ করে বোস,
আমি কিন্তু ভালোই সাঁতার জানি।