রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯

মঞ্জিমা গাঙ্গুলী


মঞ্জিমা গাঙ্গুলী

ঘুম নামালে বৃষ্টি

নালায় নালায় ধুলো জমানো খেদ ধুয়ে
ঘুম নামালে বৃষ্টি।
পুকুর পাড়ে বসে যখন মেঘের গায়ে হলুদ দেখছি
দেখছি কত পাখি এখন গান গায়
ঠিক আদিমকালের মতো
ঠান্ডা কাঁকর চোখদুটোতে আলতো রাখি
ঘুম নামালে বৃষ্টি।
কতটা সহজভাবে আবার পাতার মধ্যে পাতা
কতটা সহজভাবে আবার অলকানন্দা ফুল
জমাটবাঁধা কত বুনো গন্ধ আতর মেখে
আজ কতযুগের শেষে সহজভাবে
ঘুম নামালে বৃষ্টি।








টগর

ধুমধাম করে চেটেপুটে খাওয়া ঋতু
বর্ষা না।
তার একটা বনেদী আভিজাত্যের সুবাস আছে
আছে কূল ছাপানো সোনার জল।
বর্ষা আবার ছোট্ট মেয়েটিও
যে বটের ঝুড়ি ধরে ঝোলে
একবার ভূতকালে একবার ভবিষ্যতে।
ঋষির মতো অমোঘ রূপ
নটীর মতো পূজারিণী
গৃহস্থের মতো পরিপূর্ণ বর্ষা আসলে একটা
টগর ফুল।







কৃষ্ণচন্দ্র

এ অপূর্ব আনন্দ মিছিল করে এলো
হাজার হাজার আকাশ
এ রাত অপার বৃষ্টি হোক
কৃষ্ণচন্দ্র আজ নহবতে।
পাশাপাশি ধূসর অসুখের কথা হবে না
ঠিকানা নেই স্বপ্ন দেখেন কবি
খুঁটে খুঁটে তুলে কপালে হাতশিরা
এ নদী কেবল অনন্ত হতে জানে।







ধী

পাও মেঘ তুমি আমাকে পাও
আমি দিতে পারি নি যে ভোর
পুষ্পপত্র বুকের কাছে বৃষ্টি হচ্ছে
সে দেশের পাহাড়ি সুর ফুল জানে
ফুলেরা তো জানতোই যুদ্ধ হলেও
আমার হৃদয়ে ধী আছে।








ছিপ

উর্বর মাস ছেড়ে সূর্যমুখী কাশ ফুল
নদীর উপত্যকায় ছড়ায় টঙ্গীতে ঘরদোর
এ নদীস্থিত পাথরকুচি জানে
স্নানের মেয়েকে ছুঁলে বন্যা হয়।
ঠান্ডা ঘুম থেকে উঠে আসা পাখি
ডাক শোনে,
"পাখু বকুল মালাটি পরবো , আয়"
ছিপ ফেলে বসে আছে যৌবন পেরোনো লোকটি
শরীর জুড়ে বর্ষা আসছে ওর।