শাহানারা ঝরনা
যায় যে মুছে
রুচির আয়ু যাচ্ছে কমে মনোজগতে
তৃষ্ণাঝড়
সম্মোহনী ইচ্ছে নিয়ে ডুবছি মোহে
নিরন্তর
রোবট জীবন যান্ত্রিকতার যানযটেতেই হচ্ছে পার
ঠাকুরমা ও দৈত্যদানব কেউ রাখেনা
খবর আর
জয়পরাজয় ক্রমোন্নতির ভাবনাগাথার
আস্বাদন
গ্লোবালনীতির সূচিক্রমেই হচ্ছে
কেবল আবর্তন
বায়োস্কোপের দৃশ্যগুলো দেয়না মনে
মায়ার ছাপ
অসংগতির অবাক নিয়ম দেয় বাড়িয়ে
মনস্তাপ
যাবো কোথায়, কোন
অজানায়, চিনি কি সেই মূলুকটাও?
তৃষ্ণা খরা
নিয়েই বুকে নিচ্ছি মেনে শূন্যতাও।
অস্থিরতার কফিন ঢাকা পড়ছে সকল মুগ্ধপাঠ
আয়ুর্বেদিক স্বপ্নকুঁড়ি নির্ভয়ে
যায় শ্মশানঘাট
বয়ঃসন্ধির অন্তরালে হয় কতো কি
প্রকাশ্যেই
কেউ কিছু তাঁর বুঝতে পারে কিছু থাকে রহস্যেই
ইচ্ছেগুলো সুতোয় বেঁধে সবাই সেরা
হতে চাই
তবু আহা যায় যে মুছে জলজীবনের
চিহ্নটাই।
স্বপ্নের সৈকতে বসে
পুথিগত মানসিকতার ভেতর হীনমন্যতার
শ্যাওলা জমে,
কেউ কেউ এড়িয়ে যায় সংবিধিবদ্ধ
সতর্কীকরণের যানযট
কৌশলী দক্ষতানীতি বোঝে না কোন
সাধারণ মানুষ।
পরম্পরার মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা,
স্নায়ুর গতিশীলতা বাড়ালেই
স্মৃতিকাতরতার বিষাদ বাড়ে,
ক্রমাগত স্পন্দিত হয় আয়ুজীবী দিন,
তবু চেতনার গভীরতা বাড়ে না
প্রসারিত হয়না মহানুভবতার সীমানা
হিংস্রতার রূপকার হয়ে
কেউ বা মুখোশধারীর কাতারে দাঁড়ায়,
সভ্যতাকে হত্যা করে নির্দ্বিধায়
জ্বালায়
কুসংস্কারের আগুন।
আহা মানবতা!!
কোথায় সে আজ ?
হায় বুদ্ধিমত্তা !!
পুড়বে কতো আর?
চারিদিকে দানবিক অপশক্তির কোলাহল
শুদ্ধতা ডুবে গেছে নোংরামির জলে
মানবতা হয়ে গেছে অসংগতির
যুদ্ধজাহাজ !!
তবুও স্বপ্ন দেখি,,,,
কিছু মানুষ এখনো স্বপ্নের সৈকতে বসে
একাকী প্রহর গোনে
মানবতার অকাল প্রয়াণে
নিভৃতে ফেলে দু"ফোঁটা
অশ্রুজল৷!!
ভেজাও মানসলোক
চাইলে হতে শ্রাবণধারা মুগ্ধ
হলাম তাই
তোমার কাছেই জলজীবনের খবরটুকু পাই
স্নিগ্ধবিকেল হাত ধরে যেই প্রাণে
লাগে দোল
তুমিই তো সেই প্রেমিক দুপুর
স্বপ্নেরই হিল্লোল
বুকের ভেতর জমা থাকুক পাপড়ি-ছোঁয়া
ঢেউ
তোমার প্রতিদ্বন্দ্বী হতে আসবে না
তো কেউ
পাথর সময় সেও হয়ে যাক নরম ঠোঁটের
তিল
কোন্ অঞ্জলি চাও যে তুমি বোঝাও তো
মুশকিল
গভীর রাতের অনুভূতি করলে করুক শোক
জল হৃদয়ের প্রেমকে ছুঁয়েই ভেজাও
মানসলোক