শুক্লা
মালাকার
অশুচি
হতে পারে নাম না জানা অন্ধকার
ছুঁয়েছে আমায়
তার প্রতিটি স্পর্শে শুদ্ধতার
সবুজ ঝরে গেছে
হতে পারে খুঁটে খাওয়া কালো সরিয়ে
ভোর আনতে পারো নি,
দেখেছ সবই, অনুভব করোনি
তোমার ভেতর নেই কোন লাভা
কিংবা অভিশাপ কুরে কুরে খায় না
তোমায়
সমবেদনার ম্লান ছায়াটুকুও জ্বলে
না!
দিনে রাতে তোমার এক পুত্তলি
স্তব্ধতা
আঁচড়ে কামড়ে সুতো সুতো করছে
আমায়।
এক জন্ম
ধূসর মেঘের বুকে
জ্বলন্ত পাহাড় চূড়া খুঁজতে
চেয়েছিল যে বালক
ঘুম ঘুম উপত্যকায় তার অদ্ভুত
নড়াচড়া
আবাধ আকাশে উড়তে চেয়ে
ডানামেলা শিখেছিল যে বালিকা
লক্ষ লক্ষ মরা স্বপ্নের শিশিরে
পা ডুবিয়ে বসে আছে
একটাই জন্ম
রহস্যময় তৃষ্ণা কোলে অপেক্ষায়
কতদূরে, কবে ছোঁবে
টুকটুকে লাল
মায়ার জগত!
ঋতু বদল
যে কোনো ঋতুর পাল্টে যাওয়া আমাকে
বেহিসেবি করে তোলে
আমি নিজেকে শ্বব্দের কাছে নিয়ে যাই
তার হাত ধরে বেড়িয়ে বেড়াই
চন্দ্রতাল থেকে মনিপুরের চান্দেল
উচ্ছ্বাসের মতো কিছু
জড়িয়ে মড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ি
আবার বেড়োই পিপাসা হাতে
পর্বতের নীচের সবুজ উপত্যকায়
রাতে
তারাদের উৎসব মাখি
ঋতুর বদল শব্দকেও ঋতুমতী করে
পুরোনো ভেসে গিয়ে তাজা অনভুতি
গোপন আঁধারে অঙ্কুরিত হতে থাকে
উদাসীন বিস্ফোরণ।
চলো পাল্টাই
পাথর চেঁছে যে হাত এনেছিল
টকটকে লাল বিপ্লব
সে হাত নেমেছে শূণ্য,
সাত হাত কবর খুঁড়ে আর এক হাত
উপড়ে তুলছে বেদ, শাস্ত্র
বেদান্ত কাঁটায় আটকে যাচ্ছে পদ, পদবী
মাটি মাখা হাত, আর
সাদামাটা ভগবান আগুণের উৎসবে
বিলোচ্ছে টালমাটাল বেঁচে থাকা
আকাশের ভাঁজ খুলে চল পেড়ে আনি
প্রগাঢ় ভবিষ্যৎ।
সেই সব পাটাতন
কতটা আবেগে তাকালে একটা শরীরের
দমবন্ধ হয়?
কতটা কাজল লাগালে টানটান কাছে
চাওয়া?
ঝরে পড়া পাতারাও জানতো বশীকরণ
মন্ত্র
অচৈতন্য শরীরে বুনে যেত মায়াজাল
আদিম হয়ে গেছে সেই সব পাটাতন
শরণার্থীর মতো মন অবিন্যস্ত শুয়ে
থাকে।
-