সোমবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৯

অমিত পাটোয়ারী


অমিত পাটোয়ারী

মাটির শহর

পাথর , তার জীবাশ্ম রূপে খুব চেনা
শত সহস্র যুগের ঘর করে
যদি সময়ক্রমে এসে লেখে
আমি ফিরে যাবো মাটির শহরে।

তাকে চালকের আসনে বসিয়ে
চোখে সেলোফেন স্বচ্ছ ঘাসে
সব ভুলে যাওয়া নেগেটিভ স্মৃতি
                কারও সাথে শরীর বদল মনে আসে।







চিতাকাঠ কথা

কলেজের পিছনের গেট থেকে
আমলকি বন হয়ে এসে , তিনজন ধোঁয়ায় ধোঁয়ায়
আধখানা পুড়ে যাওয়া চিতার সামনে বসে
ও তোর প্রেমিক , নাকি দিলখোলা মাঠময় কবি ?

সিগারেট নিভে গেছে
   চিতায় শরীর সেঁকে আয়।

আমি তোর প্রশ্নকে এই বনে গাছের কোটরে
যেসব রিমঝিম চিঠি এসে পড়তো একদিন
সেরকম ঘূর্ণির মতো
খামে ভরে চালু করি সেলাই মেশিন।







প্রাক জন্মদিন

না , আজ তোমার জন্মদিনের আগে
দুপাতা পড়ে নেয়া অক্ষর বিন্যাস
অনির্বাণ কেউ না।
সবই তোমার সহস্র বছর আগের
বৈশালী নগরের স্মৃতি , যে অনির্বাণ
অবলীলায় তোমার শরীরে
তার শেষ শিখাটুকু জ্বালিয়ে গিয়েছিল।








না , একা নয়

বন্ধু বাংলাদেশে , আমাদের দেখা নেই বহু বহুদিন
এই ধুলো পায়ে ভাবছি বিদেশ যাবো কিনা...
হাত জুড়ে স্বাগত জানায় কানাডিয়ান রমণী।
তার চোখে আমি , বন্ধু ও আমি
রীতিমতো হাসির প্রলেপ
এই ধুলো পায়ে ভাবছি একা তাকে নিয়ে
                                  বিদেশ যাবো কিনা।






উড়ন্ত মাছ

উড়ন্ত মাছ , এই অর্ধনিমীলিত চোখে যা দেখেছেন
তা কি চার দশক আগের সেই আপনি ?
আপনার ঝোলা ভরা মেঘ , মেঘে মেঘে বেলা...
জংশন থেকে এই একলা এসে
আপনি আমায় গুগলি সেবন করতে দিলেন।
এই রুক্ষ অগোছালো দাড়ি আপনার ঝাপসা কাঁচে
সেই না লেখা চিত্রনাট্য এঁকে দিল আজ !
দোঁহায় সাঁতরে সাঁতরে দূর কোনো দেশে চলে যান
আপনার সমস্ত স্বপ্ন বিক্রি করে পিছু পিছু আসছি আমি।