সুধাংশুরঞ্জন
সাহা
শীত : এক
এইতো শীতের রোদ্দুর মেখেছি দু'চোখেই ।
তবুও,
অবহেলার গল্প নিয়ে
অপেক্ষারা প্রহর গুনছে।
স্বপ্নের ফ্লাইওভার জুড়ে
রাত্রির মিছিল
দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে ....।
শীত : দুই
শীতের কুয়াশাময় শিউলি গাছের মত
একাকিত্ব
আগে দেখি নি তেমন ।
যেমন দেখি নি বিচ্ছিন্ন পুকুরের
নিঃসঙ্গতাও ।
রাত যত বাড়ে
বিনিদ্র রাত্রিকথা গুমরে গুমরে
মরে নীরবে ।
তার না আছে বিলাস,
না অবসরের গান ।
সে কেবলই ফালাফালা অস্তিত্ব ।
শীত : তিন
মেঘেদের আজ ছুটি ।
মন ভালো নেই নদীরও।
পড়ন্ত রোদে এলোমেলো বিকেল ।
গাছের পাতায় আবছা বিষাদ ।
ভানুমতীর খেলা দেখাতে দেখাতেই
ক্লান্ত ছেলেমেয়েরা পথ ধরেছে
অমাবস্যাময় রাত্রির ছায়ায় ।
শীত : চার
ভোরের জানালা খুললেই
স্কুল রোড কথা বলে ওঠে ।
রাতের দরজা খুলতেই
বিরাটি স্টেশন গমগম করে ওঠে ।
আর বাড়ির বাইরে দাঁড়াতেই
রাত্রির নির্জনতা নিজস্বতা হারায়
।
একে একে পরিধি অতিক্রম করে প্রহর,
তবুও, মা-র
কন্ঠস্বর শুনতে পাই না কোথাও ।
শীত : পাঁচ
একে একে নিভছে কালের বাতি !
নীল আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে
যিনি ভাবিয়েছিলেন আকাশ কুসুম,
মাটির মনীষা অথবা ভুবনসোম ।
ইন্টারভিউ দিতে দিতেই
কলকাতা একাত্তর ।
ওকা ওড়ি কথা বলতে বলতে
মৃগয়া, একদিন
প্রতিদিন, পরশুরাম
।
আকালের সন্ধানে এসেও
দেখালেন কীভাবে খারিজ হতে হয়,
প্রসারিত হয় খান্ডহর !
জেনেসিস, একদিন অচানক,
সিটি লাইফ, মহাপৃথিবী
হয়ে
কত কত পথ হেঁটে
আজ অন্তরীণ আমার ভুবনে ।
সেই মৃণাল সেনকে আভূমি প্রণাম ।