শ্রাবণী
সিংহ
শেষ কবে
আলুকাবলি মাখা ফুচকার জল লাগা
পৃষ্ঠাটা দৌড়ছে গলির হাওয়ায়
চমকে উঠি
ওটা আমাদের না
চেটে চেটে ঝালের জিভটা লংকার
ময়াল
দেখাত না?
শেষ কবে জানি?
পার্কে ঐ বেঞ্চটা এখনও ভিজে
কুয়াশায় তেমনি
দুটো পুতুল কাঠ-কাঠ এখনও বসা
বাদামখোলায় তেমনি ঠোকাঠুকি
স্বপ্ন বোনা
মোটকথা তার কাছে যাওয়ার মত
আর সন্ধ্যা আসে না
সেও যে আর ডাকে না তেমন
বঞ্চিতের ঘুম
আর এটাই জেনেছি যে
বঞ্চিত আমরা ,আমরাই বঞ্চিত
বাধ্য শ্লোকে গেয়ে যাই
বিজন সন্ধ্যাআরতি
তবুও......
সৃজনশীলতার অভাবে
চাঁদও হয় কালো ,কলংকের অপর কালোদাগে
মুখরোচক
ওয়ান লাইনার লিখে যাচ্ছে কবিরা
রঙ বদলে ঘুম ঘুম উড়ে শুধু জোনাকি
একমাত্র ঘুমই প্রতিষেধক
বঞ্চিতরাই ঘুমিয়ে পড়ে সর্বাগ্রে
নিশ্চিন্তে তাই।
ঋণমকুবের খাতায়
১
ফেনাজলে জন্ম নেওয়া বুদবুদগুলো
যেন আকস্মিক জিজ্ঞাসা।
মৃত্যুচেন টেনে দাঁড় করিয়ে গেছে
ট্রেনটাকে কারা
আমাদের তো কোথাও যাওয়া নেই
জুনিপারের ওই
ছায়াটুকু ছাড়া।
......
২
ভাঙা আয়নায় ধেবড়ে যাওয়া কাজল
ঋণখেলাপী সন্ধ্যেগুলোয় ...
রাত একটা সংখ্যার মতই উপেক্ষিত
আজ।
অন্ধকার গলি বেচে দেয়।
ভোর তার পুরনো অধিকারে হেঁটে
আসে... ভোর
তুষের আগুনআঁচ তো নয়
ঘাসের মত বারোমাস
কান্না-উপুড় একটা
ভেজা বুক চাই তারও।
অন্য চাওয়া
এক চাওয়ার থেকে অন্য চাওয়ার দিকে
ছুটে চলা।
অসংখ্য ডেডলাইন পেরিয়ে
নো ম্যান্স্ ল্যান্ড ছুঁয়ে
থাকার দৃষ্টান্তও অনেক আছে।
এই যে আমি, বলতে ইচ্ছে
করে
ফিরে এসো ...
এইভাবেই বাতিল গল্পে বারবার।
আরেকটুখানি ঘন হয়ে এস।আদা চা ও
বাখরখানি সহযোগে
এই জীবন
পরিকল্পিত জুমের বাগানের মতই
যদি গোছানো যায় স ঠি ক তৎপরতা
নিয়ে।
স্রোত
স্রোতের অপভ্রংশও স্রোতই
নষ্ট জলের অসংশোধিততা নিয়েই নদী নাব্য
খেলনাবলের মত শিশুর বয়স বাড়ে পায়ে পায়ে,
যুবা বয়স এখন তার
আহ্নিকের সময় এলে
নাপাক নদীই ডেকে নেয় তাকে।