সোমবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৯

শ্রীপর্ণা গঙ্গোপাধ্যায়


শ্রীপর্ণা গঙ্গোপাধ্যায়
                        
প্রেম

পদ্মপাতা  জলবিন্দু আগলে আগলে রাখে
কাঁচপোকা টিপের আড়ালে  রেখে দিই
একফোঁটা মধু ডুবন্ত হলদে বেলায়
ঘাসফড়িংয়ের  পায় ডানায় ডানায়
হলদে অমৃত রেণু জীবন তো একবার ,
জীবন তো এটুকুও চায় ;জীবন তো
টুকুই চায়

                        





মৃত্যু

চলে  যাচ্ছে শেষবেলাকার  আলো
গাছের  কোটর ছেড়ে  ,একলা অসহায়
ধুপ  ধুনো  আগুন আয়োজন থরে থরে রাখা
সব তাপ শেষ হলে অন্ধকারে নদীতীর
কোল পাতে একা

                   

                             



শোক

প্রতিটি  কান্নার  শেষে
ভোররাতে ঘাট জেগে  ওঠে
সেখানে ঘুমিয়ে নেয় শোক
তার দুঠোঁটের মাঝের বাতাসটুকু
ক্রমাগত ওঠাপড়া করে
ওর মাঝে এসে বসে একটি জিজ্ঞাসা চিহ্ন ,
বয়ে আনা পলি আর অবিভাজ্য
দু একটি বালি


                         




পাখিজন্ম

খড়কুটো ,ওম ওম শাবক শাবক খেলা
তারপর লম্বা উড়ান নীল রঙে ভেসে থাকা
পালকের  স্মৃতিভারগুলি খসাতে খসাতে
নতুন স্মৃতির জলে ডুব দিয়ে গর্ভবাস
অন্ধকার  অনাবিল জলে ভেসে থেকে
ডেকে ওঠা আলোময় ভোরে, এসেছি আবার
পালকে নতুন নকশা ,খড়কুটো ,ওম ওম
শাবক শাবক খেলা তারপর লম্বা উড়ান
নীলরঙে ভেসে থাকা ,আরো এক অনাবিল
মাতৃজঠর   ;পাখিজন্ম কতশতবার

                           




দূরত্ব

দূরে  যেতে পারো , একটু নয় সরেই দাঁড়াই
তবে কুয়াশাকে বোলো ,সে যেন
তার চাদর মাঝখানে না আনে
দূরত্বের মাঝখানে অস্বচ্ছ পর্দা
পাথরের মত ভারী
তার চেয়ে স্বচ্ছ বাতাস থাক
কোথাও কোন দীর্ঘশ্বাস পড়লে
যেন আলপথে গিয়ে তার নীচে হাত রাখতে পারি
শ্বাস যেন সাহচর্যের চেনা গন্ধ পায়