গৌতম
কুমার গুপ্ত
শক্ত
ব্যক্তিগত অসুখ রয়েছে সামনে
আমাকে রেখেছে আগুনে
এখনো বাকি বোধ হয়
শত ক্রোশ
পাখিদের সাথে শেষ দেখা কবে হবে
ক্লান্তিছুট বিকেলে...........
বইছে দখিনা বাতাস; বড়ো লোভ হয়
প্রাণপণ জেগে থাকি এখনো
জীর্ণ শীর্ণ ধমনী বাহিকা
ছল করে পড়ে থাকে ; প্লুত স্বর
ব্যতিক্রম হবে না
কয়েকটি স্তবক; ধরা দেবে যদি
শব্দ- কল্প- দ্রুম হয়ে,আরোগ্যবিভ্রমে
জিপার
জিপার খোলা বন্ধের
একটা শব্দ থাকে, আকর্ষণীয়
যৌনাত্মক!
কৃষ্ণবাঁশরী ডাকছে দ্যাখো রাধায়
হুক খুলে অন্তর্বাসে ভাঁজ খুলেছে
হাওয়া,
অমনি চাগাড় যৌনআবাস।
ঠোঁটের মোহন রাত ডেকে দ্যায়
রিনিঝিনি কন্ঠে বাজে 'এসো'
তুফান তোলে আগুন
শরীর সেঁকে গা খুলে দ্যায়
ওম বিছানায়
জিপার যেন বন্ধ থাকে
পরপুরুষের দুর্বিনীত ধর্ষকামের
জিপার যেন খোলা থাকে
মধুচন্দ্রিমার বিবাহযাপন
আস্ত একটা গোটা জীবন
আমি
আমাকে মুখর করে ফেলেছিল
সেদিন
কয়েক ফোঁটা রিম ঝিম
আর ঠোঁট মোহিনীর রূপকথারা
কখন যেন ঝলসে খেল আগুন
টের পাই নি একবিন্দু ফাগুন
স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্রে ঘুণ
ধরেছে
রক্ত নামক তরল শোষণ
স্বেদ নামক লোনা বিন্দু
শ্রম ফেলেছে পায়ের পাতায়
ভিরমি খেয়ে ঘূর্ণি পালক
নিজস্বতায় ছাপ ফেলেছে
আমার ভেতর দিব্যি জেগে আমি
ঘুমের একটি স্বপ্নমেহন রাত্রিবাসে
খেতে দাও
'খেতে
দাও' কানে
এসে লাগে
তখনো জোছনা ছড়ানো ছিল
মাঠে ঘাটে
ইথারের চিৎকার ভেসে আসে - খেতে
দাও
'খেতে
দাও-'--------
নিরন্ন পেটে কি জ্যোৎস্না ভালো
লাগে!
দু একটি রুটি মাড়জল
টাটা লবণ
মুনি সোরেনের শালপাতার রুজি
বড় প্রিয় ছিল পরগণার জীবন
সাদামাটা শুধু কাঁচালঙ্কার ঘ্রাণ
এক খাবল মুড়ির অন্নবিলাস
এক ঘটি জলের নিপুণ আচমন
সনাতন বাদ্যকরের
দেখতে দেখতে কেটে গেল
আস্ত একটা জীবন মরণ
মন
বাঙ্ময় দু একটি পালল থেকে
অশরীরী প্রত্নখচিত স্নায়ু
ছি্ড়লাম
পালকের মৃদু অথবা সোল্লাসে
উষ্ণ শীতলে দেহকোষ ঘুমিয়ে পড়ল
প্রবহমান স্বচ্ছসলিলা ইজেলে খেলে
গেল
সেইসব পাখিদের দৃশ্য সম্ভোগ
নৌকাযাপন
নামান্তরে কাকলি চঞ্চুবিলাস হল
বিক্ষোভ অবসাদ প্রাঞ্জল নয়
স্মৃতিরেখায় ধরে রাখল নষ্ট ও
নর্ম
আ্যালবামে আমিত্ব ধূলিময় কেন না
অসচ্ছল অভিলাষ সম্পন্ন হল