রবীন
বসু
কবিতার ব-দ্বীপ
উলুবনে মুক্তো ছড়াতে যে সময় লাগে
সেই ফাঁকে যদি কোথাও একটা
ব-দ্বীপ
জেগে ওঠে, তো সেই
জাগরণ
কোন কলহপ্রিয় রমণী বা কোন
পুরুষ ধর্ষককে সম্মোহিত করে কি
জানি না, যেমন জানি না
যে শব্দগুলো ছুটে আসে কবিতার
শরীরে
তারা কোন ব্যাকরণ মানে কিনা?
তাদের নিজস্ব কোন পছন্দ, গোপন সম্পর্ক
কবিদের সাথে তাদের কোনরকম আঁতাত
আছে কিনা জানতে জানতে ওই
ব-দ্বীপটা
সুচারু ভাবে তার আকৃতি পালটে
ফ্যালে !
তীর্থের কাক
কী এক অমিত জ্বালা সর্বক্ষণ ঘিরে
থাকে
দগ্ধ দাগ, ক্ষতমুখ
অসহ জ্বলন নিয়ে স্থির হয় l
থামে না প্রদাহ সব, স্থবিরতা
গিলে খায়
বৃষ্টিহীন আষাঢ়ের নিমগ্ন বিষাদে
দাঁড়ে দেখি দাঁড়কাক একা নয় l
আমিও তীর্থের কাক হয়ে বসে থাকি
যন্ত্রণার পরমান্ন
হাত শুধু তুলে নেয় ভয় l
শুকনো ডাঙা
জন্মঘোর কেটে গেলে গ্রীষ্মের
চড়ুই পাখি
প্রচণ্ড দাবদাহ চিনে নেয়
জ্বলন কী প্রচণ্ড ক্ষয় তা জেনে
গেল
হরিদাস ছুতোরের মেয়ে
তুরপুনে ফুটো হয় আমাদের নিপাট
সম্পর্ক
জলাভূমির শামুক জলহীনতায় শুকোয়
মরবার আগে নিজস্ব লালা আর একবার
চেটে নেয় জীবনের রস
সমস্ত আশ্লেয শুষে অনির্দেশ
যাত্রায়
কোন খামতি নেই, তবুও কোথাও
যেন
নিঃশব্দে চুপি চুপি মানুষ বড় একা
হচ্ছে
জলহীন রসহীন শুকনো ডাঙা
আমাদের ভবিতব্য হবে?
কা ট
তোমাকে ব্যবহার করতে আমার বড় সুখ
তোমাকে সিঁড়ি করি উদ্দ্যেশের ছাদ
খাব বলে
কবিতা নয়, কবিই এখন
জটিল এক তত্ত্ব
গভীর গবেষণা প্রসূত এক স্টাডি
মেটিরিয়াল
যেখানে জারণ জায়েজ হয়ে বসে থাকে
বসে থাকে ফন্দিফিকির আর অপেক্ষার
তুলো
সবটুকু জল শুষে নিয়ে কোন হার্বাল
থেরাপি
হাঁটুমুড়ে অপেক্ষার হাত ধরে l
এই টুকু রেখে কবিতার বাকি অংশ
সম্পাদক মহাশয় ডকস্ ফাইল থেকে
কাট করে
দিলেন l
সেই সব দূরত্ব
সেই সব দূরত্ব আজ মাঠঘাট পার হয়
শান্ত লোকালয় পেছনে ফেলে
দূরপাল্লার বাস ধরে
হাইওয়ে দিয়ে যখন সে গড়িয়ে গড়িয়ে
যায়
দূরত্ব মাপে স্পিডোমিটার
কম্পনে জাগে ফেলে আসা দিনাঙ্ক
সব চরিতার্থতা হিমঘুমের কাঁথা
জড়িয়ে নেয় l
অসফল হাওয়া তাকে ঠেলতে ঠেলতে
এবড়োখেবড়ো মাঠে দাঁড় করিয়ে দেয়
l
দিনান্ত আর সেই দূরত্ব মুখোমুখি
বসে
সমকামিতার গল্প শোনে l