গদাধর
সরকার
আমি
আমি এখন একটু সানাই সানাই -- এখন একটু প্রানের,
আতর ঢেলে পথ বুনে যাই এইখানে
ওইখানে !
আমি এখন একটু ভ্রমণ ভ্রমণ এখন একটু গাঁ টির,
উড়িয়ে দেবো ও সোনামন তাইতো একা
হাঁটি !
আমি এখন একটু সাঁতার সাঁতার -- এখন একটু দূরের ,
দ্বীপ গুলিকে চিনবো আবার ঢেউ
জুড়ে ঢেউ জুড়ে - !
আমি এখন একটু শালিক শালিক -- এখন একটু বাঁশির,
ছড়িয়ে দেবো খুশির ঝিলিক একলা
চারিপাশে -- !
তোমার বুকের ইচ্ছে
পাগল পাগল মনটা আমার চাঁদকে চিঠি
দিচ্ছে ,
ও ভালোদিন দাও ছড়িয়ে তোমার বুকের
ইচ্ছে !
ঢেউ চিক চিক সবুজ পাতায় কে ছড়ালো
মুক্ত
আমরা পাখি আলোর পাখি ওড়ায়
অভিষিক্ত !
ঠিক বলেছো এখন আবার হাওয়ায় ভেসে
যাচ্ছি !
তোমরা কি কেউ সেই বাঁশিটি শুনতে
আবার পাচ্ছো ?
তরতরিয়ে বইছে এখন ওই যে খুশির
ঝর্ণা !
তোমায় ডাকি তিতাস নদী,তোমায় ডাকি
চূর্নী !
আকাশটা নীল, উড়ছে ফানুস, সেই ফানুসের
মধ্যে !
নাচতে থাকে দিন ভরে আজ ধান
ছড়াবার পদ্য
সাজিয়ে দিলুম পাখির বাসা নতুন
নতুন দৃশ্যে !
এইতো কবির হারিয়ে যাওয়া, এইতো কবির
বিশ্ব !
পাগল পাগল মনটা আমার চাঁদকে চিঠি
দিচ্ছে !
ও ভালোদিন দাও ছড়িয়ে তোমার বুকের
ইচ্ছে !
এক যে কবি
তুই নিবি তাই আতর ছড়াই, চাঁদের বাড়ি
পড়তে থাকি --
পড়তে পড়তে ভোর হয়ে যায়, ডাকতে থাকে
শালিক পাখি !
তুই নিবি তাই পাহাড় থেকে কিসের
যেন খবর আসে,
কদম সুবাস তুমুল ভাবে ছড়িয়ে পড়ে
সবুজ ঘাসে !
তুই নিবি তাই সাতটি হরিণ দেয়
পাঠিয়ে রঙীন চিঠি --
চিঠির আলোয় পথ ভেজে আর নাচতে
থাকে পারুল প্রীতি !
তুই নিবি তাই গাছকে বলি, তুমিই কি গাছ
বনের পরী ?
অমনি সে এক রূপকথা গাছ
হুস করে হয় গানের তরী !
তুই নিবি তাই লেখার খাতায় পালক
গুলো বেড়ায় উড়ে --
এক এক করে সাজায় তাদের এক যে কবি
হৃদয় পুরে !
চলতে চলতে
ঠিক বলেছ সবাই তারা সাগর পারের
গাছ ছিলো !
গাছ ছিল তাই আপন নেশার ভূবন ছুঁয়েই
নাচছিল !
নাচতে নাচতে সেই তারাটি
তিনসুকিয়ার হাঁস হলো !
হাঁস হলো আর দিন সরিয়েই একটু
অবকাশ হলো !
উড়তে উড়তে একফালি চাঁদ বললে যাবো
শিলচরে !
বলতে পারো আকাশ টা কে, কেমন করে নীল
করে ?
মিল হলো কি কথায় তোমার ? বেড়ায় পথে
ভুল গুলো !
ভাবতে ভাবতে আবার কে বেশ ফোটায়
গাছে ফুল গুলো !
তির তিরিয়ে লাজুক বাতাস নাও
ভাসালো কোন দিকে ?
চিক চিকিয়ে খুশির আবীর দোলায়
উদাস মনটিকে !
এমন সময় আদর করে শিবসাগরের জুঁই
পাখি !
বললে ও ভাই এই যে হৃদয়, খুঁজিস আমায়
তুই নাকি ?
এই বলাটাই বুকের ভিতর বাজায়
সানাই রোজ ভোরে !
তাইতো আকাশ, ফুল, পাখি আর
বেড়াই সাগর খোঁজ করে !
গাছ
গান খালি গাই আর দ্যাখো রোজ
গাছের কাছে আমি,
মেঘ ডুমা ডুম, জল ঝুমা ঝুম, মোহর খুঁজি
দামি !
গান শুনে গাছ নাচ লেখে আর বাজায়
সুখে বাঁশি,
মন যাদুকর ঢেউ তোলে যেই পাহাড়
ছুঁ্যে হাসি !
মাছরাঙা ভোর যাও উড়ে যাও দিলাম
খুলে মুঠো ---
আজ তুমি গাছ নাচ জুড়ে দাও, ফুল ফুটেছে
দুটো !
আজ তোমাদের চায় দিতে মন গাছের
সাথে আড়ি ?
এই কথা যেই ফের শুনি হয় হৃদয়
আমার ভারি !
হও সামাজিক, দিন দুনিয়ায়
ছড়াও তারার আলো ---
আর এসো ভাই হাত নেড়ে কই ও গাছ
তুমি ভালো !
নাও আলো মন ফুল ফোটাবার, লেখায় ভরো
খাতা --
রূপ ঝুমাঝুম রূপকথা আর উড়ুক
পাখিপাতা !
আলোর ভূবন
আ চই চই দিন কেটে যায় বেড়াই কেবল
ঘুরে,
পাখিরা সব খুশির পালক ছড়ায় আকাশ
পুরে !
ছবি আঁকাও শেখায় আমায় কদম,টগর,বেলি
ময়না, শালিক,সারস, তোতা সবার
সাথেই খেলি !
খেলার সময় হরিণ আসে,বাঘের ছানাও
নাচে !
বুঝি তখন বুকের ভিতর কি এক যাদু
আছে !
নিঝুম দুপুর,সাঁঝ পেরুলেই
চাঁদ ঘুম ঘুম রাতে,
ঘুরে বেড়াই আপন মনে হাজার তারার
সাথে !
আকাশ পুরের রাজার পোষাক আর ভালো
মন ঘুড়ি !
আমায় বলে ভালোই আছি, এক মনে রোজ
উড়ি -- !
উড়তে উড়তে সাগর দেখি,পাহাড় দেখি
ভোরে
এই ভালো এই ভুবন আমায় ডাকে আদর
করে !
সবুজ গাঁয়ের খবর
চোখ ছিল তার সড়ক চেনার । জিরাফ
আলো আর
সেই মাঝিটাও ছলাত্ ছলাত্ টানছিল
বেশ দঁাড় ।
গান ছিল ঠিক কূল ছাপানো । রাত
ভোর ভোর ভুল ।
পথ ভোলা এক বাউল ছিল, কোঁকড়ানো তার
চুল ।
আধখানা ঘুম মাথার ভিতর ভাঙছিল
কুমকুম
চোখের পাতায় হরিণ ছিল দু পায়ে
ঝুমঝুম --
প্রান ছিল তাই সবুজ গাঁয়ের হাজার
মাটির ঘর ।
শীতলপাটির ওপর বসেই দেখত নদীর চর
।
সেই গাঁ এখন কোথায় গেছে ? খুঁজতে
খুঁজতে সই,
চোখের কোনায় জল জমে আর একলা জেগে
রই -- !