সোমবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৯

গদাধর সরকার


গদাধর সরকার

আমি

আমি  এখন একটু সানাই  সানাই -- এখন একটু প্রানের,
আতর ঢেলে পথ বুনে যাই এইখানে ওইখানে !

আমি     এখন একটু ভ্রমণ ভ্রমণ এখন একটু গাঁ টির,
উড়িয়ে দেবো ও সোনামন তাইতো একা হাঁটি !

আমি    এখন একটু সাঁতার সাঁতার -- এখন একটু দূরের ,
দ্বীপ গুলিকে চিনবো আবার ঢেউ জুড়ে ঢেউ জুড়ে - !

আমি    এখন একটু শালিক শালিক -- এখন একটু বাঁশির,
ছড়িয়ে দেবো খুশির ঝিলিক একলা চারিপাশে -- !








তোমার বুকের ইচ্ছে

পাগল পাগল মনটা আমার চাঁদকে চিঠি দিচ্ছে ,
ও ভালোদিন দাও ছড়িয়ে তোমার বুকের ইচ্ছে !
ঢেউ চিক চিক সবুজ পাতায় কে ছড়ালো মুক্ত
আমরা পাখি আলোর পাখি ওড়ায় অভিষিক্ত !
ঠিক বলেছো এখন আবার হাওয়ায় ভেসে যাচ্ছি !
তোমরা কি কেউ সেই বাঁশিটি শুনতে আবার পাচ্ছো ?
তরতরিয়ে বইছে এখন ওই যে খুশির ঝর্ণা !
তোমায় ডাকি তিতাস নদী,তোমায় ডাকি চূর্নী !
আকাশটা নীল, উড়ছে ফানুস, সেই ফানুসের মধ্যে !
নাচতে থাকে দিন ভরে আজ ধান ছড়াবার পদ্য
সাজিয়ে দিলুম পাখির বাসা নতুন নতুন দৃশ্যে !
এইতো কবির হারিয়ে যাওয়া, এইতো কবির বিশ্ব !
পাগল পাগল মনটা আমার চাঁদকে চিঠি দিচ্ছে !
ও ভালোদিন দাও ছড়িয়ে তোমার বুকের ইচ্ছে !








এক যে কবি

তুই নিবি তাই আতর ছড়াই, চাঁদের বাড়ি পড়তে থাকি --
পড়তে পড়তে ভোর হয়ে যায়, ডাকতে থাকে শালিক পাখি !
তুই নিবি তাই পাহাড় থেকে কিসের যেন খবর আসে,
কদম সুবাস তুমুল ভাবে ছড়িয়ে পড়ে সবুজ ঘাসে !
তুই নিবি তাই সাতটি হরিণ দেয় পাঠিয়ে রঙীন চিঠি --
চিঠির আলোয় পথ ভেজে আর নাচতে থাকে পারুল প্রীতি !
তুই নিবি তাই গাছকে বলি, তুমিই কি গাছ বনের পরী ?
অমনি সে এক রূপকথা  গাছ  হুস করে হয় গানের তরী !
তুই নিবি তাই লেখার খাতায় পালক গুলো বেড়ায় উড়ে --
এক এক করে সাজায় তাদের এক যে কবি হৃদয় পুরে !








চলতে চলতে

ঠিক বলেছ সবাই তারা সাগর পারের গাছ ছিলো !
গাছ ছিল তাই আপন নেশার ভূবন ছুঁয়েই নাচছিল !

নাচতে নাচতে সেই তারাটি তিনসুকিয়ার হাঁস হলো !
হাঁস হলো আর দিন সরিয়েই একটু অবকাশ হলো !

উড়তে উড়তে একফালি চাঁদ বললে যাবো শিলচরে !
বলতে পারো আকাশ টা কে, কেমন করে নীল করে ?

মিল হলো কি কথায় তোমার ? বেড়ায় পথে ভুল গুলো !
ভাবতে ভাবতে আবার কে বেশ ফোটায় গাছে ফুল গুলো !

তির তিরিয়ে লাজুক বাতাস নাও ভাসালো কোন দিকে ?
চিক চিকিয়ে খুশির আবীর দোলায় উদাস মনটিকে !

এমন সময় আদর করে শিবসাগরের জুঁই পাখি !
বললে ও ভাই এই যে হৃদয়, খুঁজিস আমায় তুই নাকি ?

এই বলাটাই বুকের ভিতর বাজায় সানাই রোজ ভোরে !
তাইতো আকাশ, ফুল, পাখি আর বেড়াই সাগর খোঁজ করে !








গাছ

গান খালি গাই আর দ্যাখো রোজ গাছের কাছে আমি,
মেঘ ডুমা ডুম, জল ঝুমা ঝুম, মোহর খুঁজি দামি !

গান শুনে গাছ নাচ লেখে আর বাজায় সুখে বাঁশি,
মন যাদুকর ঢেউ তোলে যেই পাহাড় ছুঁ্যে হাসি !

মাছরাঙা ভোর যাও উড়ে যাও দিলাম খুলে মুঠো ---
আজ তুমি গাছ নাচ জুড়ে দাও, ফুল ফুটেছে দুটো !

আজ তোমাদের চায় দিতে মন গাছের সাথে আড়ি ?
এই কথা যেই ফের শুনি হয় হৃদয় আমার ভারি !

হও সামাজিক, দিন দুনিয়ায় ছড়াও তারার আলো ---
আর এসো ভাই হাত নেড়ে কই ও গাছ তুমি ভালো !

নাও আলো মন ফুল ফোটাবার, লেখায় ভরো খাতা --
রূপ ঝুমাঝুম রূপকথা আর  উড়ুক   পাখিপাতা !









আলোর ভূবন

আ চই চই দিন কেটে যায় বেড়াই কেবল ঘুরে,
পাখিরা সব খুশির পালক ছড়ায় আকাশ পুরে !

ছবি আঁকাও শেখায় আমায় কদম,টগর,বেলি
ময়না, শালিক,সারস, তোতা সবার সাথেই খেলি !

খেলার সময় হরিণ আসে,বাঘের ছানাও নাচে !
বুঝি তখন বুকের ভিতর কি এক যাদু আছে !

নিঝুম দুপুর,সাঁঝ পেরুলেই চাঁদ ঘুম ঘুম রাতে,
ঘুরে বেড়াই আপন মনে হাজার তারার সাথে !

আকাশ পুরের রাজার পোষাক আর ভালো মন ঘুড়ি !
আমায় বলে ভালোই আছি, এক মনে রোজ উড়ি -- !

উড়তে উড়তে সাগর দেখি,পাহাড় দেখি ভোরে
এই ভালো এই ভুবন আমায় ডাকে আদর করে !








সবুজ গাঁয়ের খবর

চোখ ছিল তার সড়ক চেনার । জিরাফ আলো আর
সেই মাঝিটাও ছলাত্ ছলাত্ টানছিল বেশ দঁাড় ।

গান ছিল ঠিক কূল ছাপানো । রাত ভোর ভোর ভুল ।
পথ ভোলা এক বাউল ছিল, কোঁকড়ানো তার চুল ।

আধখানা ঘুম মাথার ভিতর ভাঙছিল কুমকুম
চোখের পাতায় হরিণ ছিল দু পায়ে ঝুমঝুম --

প্রান ছিল তাই সবুজ গাঁয়ের হাজার মাটির ঘর ।
শীতলপাটির ওপর বসেই দেখত নদীর চর ।

সেই গাঁ এখন কোথায় গেছে ? খুঁজতে খুঁজতে সই,
চোখের কোনায় জল জমে আর একলা জেগে রই -- !