চৌধুরী
নাজির হোসেন
দৃষ্টির আড়ালে
যতদূর দৃষ্টি যায় তোমাকে দেখার
ততখানি তুমি নও
যতদূর পথ দেখি তোমার চলার
পথ অত ছোট নয়
তবু ক্রমে ক্রমে এই তুমিই বড় হও
তল বহুতল ফ্লাইওভার শপিং মল
এলইডি বাল্ব নক্ষত্রের আলো
ক্রমে ক্রমে আলোর উৎসবে ঘোর লাগে
,
অন্ধকার নামে ক্রমে ক্রমে সব আলো
নিভে যায়
পথনাটিকার পাশে পথ শুধু অন্তহীন
ক্রমে ক্রমে এক দৃশ্য দৃষ্টির
আড়ালে
কান্নার জলের রঙ, ছবি আঁকে
আহা, জলরঙা জীবন!
আমার মা
যে যে অববাহিকায় স্বর্ণশস্য
আমাকে ঘর-দোর দিয়েছে
নদীজল পারাপার সেতু
এবং প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয়...
সেই সেই সভ্যতার মাটি মেখে
ব্রাহ্মীলিপি খাগের কলম
কালের প্রতিমা গড়ে এক
মায়ার ভুবন
মা-আ-আ
এই আদিমতা ভাঙ্গো
তুমি ঘুরছ আমি স্হির
ঘুরতে ঘুরতে প্রদক্ষিণ করছ
আমাকেই, ঘুরতে ঘুরতে
পেরিয়ে যাচ্ছ আমাকে।
আমি তখনও স্হির, এখনও..
কেবল তোমার ছায়া
তোমারই থেকে দীর্ঘ হয়ে
গ্রাস করছে তোমাকেই।
নিমজ্জিত অন্ধকার
এই আদিমতা ভাঙ্গো।
রূপরেখা
সকালের সশস্ত্র রোদ্দুর
বিকালে ঘুরে যাবে জেনেই
তুমি তৈরী করছ আর এক রূপরেখা
হে সময়, কুহকিনী
বর্ণমালা!
আমার প্রকৃতি পাঠে আলো ফেলে
যে অক্ষর তার প্রচ্ছদে প্রচ্ছদে
বহু জনপদ,
খোলা রাস্তা, নানা রঙ
মাটি ও আকাশ ছুঁয়ে যায়।
জানি,তুমি একে
অস্বীকার কর
আর মধ্যবিত্ত হাওয়া সেই মিথ্যা
ছলনার অবিমিশ্র মোহে
নিভৃত আবেগের নৌকা ভাসায়।
হা, জলজ পারাপার
দেখো,ইতিহাস ডুবে যায়!
কেউ জিজ্ঞেস করেছ ?
হাতের তালু থেকে রোদ্দুর
ক্রমশ ক্রমশ ক্ষয়ে গেলে
যে স্বপ্নেরা বেঁচে থাকে
ঝিমধরা বিকেলের গাছে
তাকে কেউ জিজ্ঞেস করেছ―
এখন কেমন আছে?
কিংবা কোন্ রঙ গাঢ় হলে
সামাজিক সম্পর্কের রাস্তাগুলো
ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে
কীভাবে অদৃশ্য হয়ে যায়?
অথবা নালেখা শব্দগুলো
তুলোট কাগুজে মাঠে শস্য
হয়ে উঠবে বললেই
কেন জলজ পৃথিবী জলহীন?