সুদীপ
ঘোষাল
পুনর্জন্ম
মায়াময় মাদকতায় ভাসে জীবকুল
প্রথামত ভাসে চিতাভস্ম
নাভিকুন্ডলি
আমিও ভেসে চলেছি উদ্দাম এক মূর্খ
জগতে
সেখানে অহঙ্কার লিপস্টিক
আঁকে নেশায়
ভগ্ন মনোরথে কাঁদে যুধিষ্ঠিরের
ভাবনা...
হংস মিথুনে চলে পুকুরজীবন
ছেঁড়া শালুকের দলে, গ্রীষ্মের শুকনো
দাবদাহে
আবার পুকুরের কঙ্কাল, ফুটিফাটা হয়
গভীর তল
আশা দিয়ে বর্ষা ভাসায় জীবনের
স্পন্দন...
প্রবাহ
একটা পাগল দেহ অনবরত হস্তমৈথুনে
ব্যস্ত
পৃথিবী বেঁধে চলেছে চুলের ফিতে,রঙ বেরঙের
রাস্তায় ঘাসের শরীরে পথরেখা
মিলিয়ে যাচ্ছে
একটা সবুজ বন্ধনে বাঁধা পরে শিশির
মায়া
একদিন গ্রাম্য বনলতার রাণী
শিখেছে শহুরে বিলাপ
ক্ষয়ে যাওয়া শ্যাওলা শরীরে
রিরংসার ছাপ
আর কতদিন নিজেকে যোনির আড়ালে
রাখা
জেগে থাকে বদ্ধ পুকুরের ঘুরপাকে
নিয়তির খেলা
তবে কি থেমে যাবে সভ্যতার বেহাগ,ধুলোয় গড়াবে
বাঁশীর ভুল
ইতিহাস হবে সবই থেকে যাবে অনন্ত
গোধূলি
একদিন দেখো, ফোর জি তে
জমবে ঝুল...
বৃদ্ধাশ্রম
দ্যাখো আমাদের মানব সমাজ,বৃদ্ধাশ্রম
কতটুকু হিসেবে শোধ হয় পিতৃঋণ
কতমূল্যে মাতৃঋণের মায়া কাটে
হিসেব মেলায় ঋণী আজন্ম, বোঝে না
প্রবাহ...
একদিন তুমিও কড়ি নিয়ে খেলবে
আত্মজের সাথে
সেও নেবে তোমার কাছে বৃদ্ধাশ্রমের
ঠিকানা
ছেঁড়া, হলুদ বিবর্ণ
কাগজ দেঁতো হাসি হাসবে কৃতকর্মের দিকে
অসহায় তুমি ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে
ছুটবে বৃদ্ধাশ্রমের দিকে...
প্রকারভেদ
পরশের প্রকার ভেদে অনভূতিগুলো
বেঁচে ওঠে নতুনভাবে
কি সুখে পাতা দোলে সে জানে, কিছু লোক
শেখে
কোন প্রেমে শরীর স্নিগ্ধ হয়
বসন্ত জানে
কখন জেগে ওঠে প্রাণ গ্রীষ্ম জানে
কি খেলায় সৃষ্টি চলে বর্ষা জানে
সব খেলা শেষে ঋতু শেষের দিকে
টানে
সকলেই কিন্তু শীতের পরশে ঠান্ডা
হতে চায়,শীতল
হবেই...
শঙ্খ
প্রেম এক ইচ্ছের বন্ধন,
চিরকাল জাগ্রত কাম বন্ধনে
সাপের শঙ্খ লাগা,দীর্ঘ যৌনতা
নবীন সুরে গেয়ে যায়
সোহাগী কাঠের বাঁশি
ভুলে যায় সিগারেট ধোঁয়া
গোপন অঙ্গ ভাবছি সে বিরহে
কুলেখাঁড়ায় খাড়া না হলে
প্রেমিকার প্রেম নাটুকে প্রলাপ
আম বাগানে চলে, নবীনের খোঁজ
প্রেম প্রেম ঘন কাম জীবন
অভিনয় ভুলে মাতে আনন্দে
কাম, প্রেম চলে
সমান্তরাল দেহে
প্রেমিক ছেলেরা বোঝে দেহের ভাষা
বেহালা বেজে ওঠে রমণীয় সুরে...