মতিউল
ইসলাম
দফা ৩০২
দফা ৩০২ -
দাড়িয়ে আছি কাঠগোড়ায়,
বিচারকের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি পড়তে
চাইছে
চামড়া অস্থি রক্ত মাংস ভেদ করে
হৃদয়ের কথা।
জবানবন্দি-
হুজুর এ হত্যা নয়,
ভালোবাসার এক্সপেরিমেন্ট ।
সোহাগের মুর্হুতে মস্তিষ্কে
বিস্ফোরণ,
স্তন কামড়ে হৃদয়ের সন্ধান,
রক্তাক্ত হৃদয় চুবিয়ে রাখার
বাসনা
ফর্মালিনের জারে।
বিজ্ঞাপনের যুগে নতুন বিজ্ঞাপন।
কোন সিদ্ধান্ত নয়
নেক্সট ডেট।
ভাগফল
মৃত্যুর মৃত্যু তে যে জন্মের
জন্ম হলো
চলো তার নাম দিই বিশ্বাস,।
বিশ্বাসের বিশ্বাস অর্জন করলেই
ভরসা বাসা বাঁধবে চোখের মণিতে।
ভরসার ভরসা আশা পেলেই
প্রেম আসবে হৃদয় জুড়ে।
প্রেমের প্রেম তোমার হলে
হৃদয় জুড়ে ফল্গুধারা।
হৃদয় হৃদয়ের জন্য আর কিছু নয়?
তাহলে চলো মৃত্যুতে জীবন যোগ করে
গুণ করি বিশ্বাস আর ভরসা দিয়ে।
গুণফল কে অবিশ্বাস দ্বারা বিয়োগ
করলেই
পড়ে থাকে রক্তাক্ত হৃদয়,
হৃদয় তো চিরকাল ভাগই হয়ে যায়।
দোদুল্যমান
আকাশগঙ্গায় উড়তে গিয়ে
ধুপ করে পড়ে গেছি
অঘ্রানের ধান কাটা জমিতে,
উপোসী মাটি গিলে নিচ্ছে তামাম
স্বপ্ন।
শিশিরে মিশে যাচ্ছে রক্ত,
রক্তে বিষ,
বিষে নিকোটিন।
প্যাকেট প্যাকেট সিগারেট
ভালোবেসে
সঞ্চিত রেখেছিল যাবতীয় সম্পদ
আমার
শরীর মন্দিরে।
আমি কল্পতরু হয়ে সব বিলিয়ে
দিলাম।
আকাশগঙ্গা আর মাটির মাঝে
একরাশ ঝুল হয়ে দুলছি আর দুলছি।
সুইচ
মতের অমিল হতেই টুক করে
তুলে নিলি হাজার লাইক, কমেন্ট,
আর ছোট্ট ছোঁয়া দিয়ে আনফ্রেন্ড।
মুহূর্তেই বিবর্ণ হলো আমার
দেওয়াল।
ডিলিট করে দিলি রাতজাগা
হাজার বার্তা,
হোয়াট অ্যাপসের নরম ভূমিতে
মায়াবী বিষন্নতা।
তবুও কিউমুলোনিম্বাস মেঘ
তোর কিছু অশ্রু বৃষ্টি রূপে আমায় ভিজিয়ে দিল।
কর্কটক্রান্তি রেখা তোর উষ্ণতা
দিয়ে
পুড়িয়ে দিচ্ছে দিবারাত্রি।
দুষ্ট প্রজাপতি তোর উচ্ছ্বলতা
দিয়ে
পরাগ সংযোগ ঘটাচ্ছে অহরহ।
আর আমি চার্জ হয়ে হয়ে যাওয়া
মোবাইলে
প্লাগ গুজে সুইচ অন করতেই
নীল আলো দাপিয়ে বেড়াতে শুরু করলো
শরীর জুড়ে।
সঙ্গে আছি
পাকাধান আসছে মাঠ থেকে খামারে
বড়দা
আর ভাইপো, অসুস্থ
মায়ের পাশে আমি আর
ভাইঝি। হঠাৎই ছোট ভায়ের মোবাইলে
ঝংকার,
তারপরেই পাকা ধান হেসে উঠলো
মায়ের অসুস্থতা পগার পার,
ছোটজন স্কুলের ময়দান থেকে
গোল দিয়েছে পাবলিক সার্ভিস
কমিশনের কলেজের বারপোস্টে।
মায়ের চোখে জল,
আব্বা কিছুই দেখে গেলেন না।
ভাইঝি ভাইপো নাচছে,
আমার মন ভরে যাচ্ছে আনন্দে।
আর মুহূর্তেই বিষাদ খুশি আর
আনন্দে
আব্বা আসেন, বরাভয় দেন
এগিয়ে চল সঙ্গে আছি।