তন্ময় ধর
সভামঞ্চে
আমি অন্ধকারে পুরস্কার নিচ্ছি
এক রক্তাক্ত কবির হাত থেকে
প্যালিওলিথিক এক ধর্ষণের শব্দ ওঁর গলায় আটকে আছে
ফুলের স্তবক জুড়ে মিথ্যে আলজিভ
কবির দেহবোধের ওপর ব্রথেলের কাক এসে বসে
আমি পুরস্কারের অর্থমূল্য সামলে কসাইখানায় ঢুকি
হু-হু করে’
বাড়তে থাকে মাংসের দাম
সদ্য ছাড়ানো এক মৃতপশুর কেঁপে ওঠা চামড়ায় জড়িয়ে
কেউ সামান্য শূন্যতা এগিয়ে দেয় আমার দিকে
আমার উচ্চারণে মাছি এসে বসে
রঙ্গমঞ্চে
বুদ্ধের চরিত্রে অভিনয় করতে থাকা এক খুনের আসামীর সাথে
আমার ধাক্কা লাগে,
নাক দিয়ে রক্ত বেরোয়
অ্যাস্ট্রাল প্লেনের ওপর শব্দগুলি ছড়িয়ে যায় কাঁচের গুলির
মত
অদৃশ্য আলো ও হাততালি ভেঙে যায় প্রজ্ঞাপারমিতার নাভিতে
দীঘল শব্দঝিনুক থেকে অদৃশ্য আমাকে শাদা মথ এবং
ছুরির পাশে নিয়ে যায় ম্যাজিশিয়ান
তার চেরা জিভ থেকে একে একে নেমে আসে
অভিনেত্রী ঈশ্বরীর ঢল
মুক্তমঞ্চে
ধর্ষণে অভিযুক্ত এক কবি আমার কবিতা পাঠ করছেন
ঈশ্বরের মৃতদেহ থেকে আমি তোমার পাতাটি ছিঁড়ে অন্য
প্রতিবিম্বে ফেলে দিই
এক নক্ষত্র থেকে অন্য নক্ষত্রে, এক নীহারিকা
থেকে অন্য নীহারিকায়
বেদনার্ত হিলিয়াম জ্বলে শূন্যতায়
দেবদাসীর সেই ক্রিয়াশীল তীব্র শরীর থেকে
আমি শব্দ নিই,
মৃত পাখিদের গান নিই
স্মৃতিহীন শব্দ থেকে রক্ত শুকিয়ে ওঠে
মরিৎজ এশারের সিঁড়িতে
নৃত্যমঞ্চে
নটরাজের নৃত্যভঙ্গিমা নিয়ে
একটি বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনার মাঝখানে
তুমি ঢুকে পড়লে
চায়ের কাপের বিরুদ্ধ
জ্যামিতিতে ছলকে উঠল ওষ্ঠ্যবর্ণ
গ্রাসনালীর ভেতর বেশী চিনি ও দৃশ্য
দুধ কমিয়ে দিচ্ছে স্মৃতিচিহ্নে
এও ভূমিস্পর্শমুদ্রা
সরে যাচ্ছে পা ও পিঙ্গল আলো
অন্য এক জাতিস্মর ভূগোল
আমার ইলাস্টিসিটি বাড়িয়েই চলেছে
রাসমঞ্চে
কামুক এক ঈশ্বরের রাতের ওষুধের নীচে
কবিতা লিখে রেখেছি আমি
জল নেই,
ঠান্ডা দুধ থেকে অভিনয় শুরু হচ্ছে তোমার
পুরু সর থেকে থেকে মিষ্টান্নের ছটফটানি
আমি সংলাপ থেকে বেরিয়ে আসি
অষ্টধাতুর ফিসফাস থেকে বদলে যাচ্ছে ঈশ্বরের নাচের মুদ্রা
মুদ্রাদোষ থেকে জলের বিম্ব
তোমার সমস্ত আঙুলে নীল এক জাতিস্মর
রয়ে গিয়েছে