শুভাশিস
দাশ
পৌষ
উঠোন জুড়ে
ধান ছিটানো
সুখ করে থৈ
থৈ
সেই সেদিনের
সোনা রোদের
মিষ্টি কিরণ
কই ?
পড়শি এখন
জারজ ভূমে
অন্য খেলায়
মাতে
পৌষ আসে আগের
মতো
নেই সেই
প্রেম সাথে !
মানুষ এখন
প্রেম গুলো
কি সব দেরাজে রেখেছে সবাই
না হলে চেনা
মুখ কেমন করে সরে যায়
উৎসবে কেউ
আসেনা ,কেউ হাসে না
যেন কেউ কারো
সাথে কোনদিন কথা বলেনি
এখন বোধহয়
মানুষ যন্ত্র হয়ে গেছে
মন্ত্র গুলো
কেমন ভুলে গেছে বেমালুম
অথচ এই মাঠ
ভরা কথা ছিল ,ছিল হরি মন্দির l
স্কুল বাড়ীর
একটু দূরে পীর সাহেবের মাজার
আর বুড়ো শিব
তলা
কতদিন দেখেছি
ফাতেমা গিয়েছে এক বিশ্বাস বুকে নিয়ে l
আজ বোধহয়
মানুষ বিশ্বাস হারিয়েছে
এখন মানুষ
ভালবাসা হারিয়েছে l
যন্ত্রণা
নদী তার
নাব্যতা হারিয়ে আশ্রয় খোঁজে
বন আর খুঁজে
পায় না অরণ্য সবুজ
চারপাশ জুড়ে
কেমন মন খারাপের বিভবৎসতা
তবু দিন চলে
যায় ,রাত যায়
হার্ট বিট
বেড়ে চলে আঁধারে আকাশ
এত্ত বিষ
বাতাসে ,শ্বাস নিতে কষ্ট হয় রোজ
কী এক চাপা
ব্যাথা মোচড় দেয় আমাদের মধ্যবিত্ত যাপনে .......!
সুখ
সুখ দেবে বলে
সব গুছিয়ে রেখেছিলাম
এক বুক
ভালবাসা বিশ্বাস আর যা যা তোমাকেই দেয়া যায়
সুখ দেবে বলে
উঠোনে আলপনা এঁকেছিলাম তোমার পদচিহ্ন দিয়ে
পাশে ছিল
অনেক প্রতীকী চিহ্ন
সুখ দেবে বলে
সেই যে যাওয়া আর আকাশ দেখা হলনা আমার !
বিষাদ!
কিরে তোর
বিয়ে হয়েছিল শুনেছিলাম
আজ এই
বেস কেন ?
শাঁখা নেই ,শাঁখার কোলে লাল পলা নেই
আর তোর ফর্সা
কপাল জুড়ে সূর্যের মতো টকটকে লাল সিঁদুর ?
সুদীপা শুধু
দু ফোঁটা জল ফেলেছিল সেদিন
পড়ে এক
বন্ধুর কাছে জেনেছিলাম
বিয়ের
ডিমান্ড ঠিক ঠাক দেয়া হয়নি বলে
ওর গায়ে আগুন
দিয়েছিলো ওর স্বামী
অথচ সুদীপা
ভার্সিটির এক নম্বর ছিল ভালদের মধ্যে .........