সোমবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৯

তাপসকিরণ রায়


তাপসকিরণ রায়

ভালবাসা চটকে চটকে

ভালবাসা চটকে চটকে একটা কাঁচ বৈয়ম তৈরি হচ্ছে

তাতে লেবু পাতার গন্ধ ও সারসের ঠোঁট ভিজচ্ছে

অনায়াস ছাড়ানো পালকগুলি জুড়িয়ে জুড়িয়ে আবার পাখি

আবার আদর করা পাখির তাল মাংস তৈরি হচ্ছে

লুব্ধ রসে জারিত হচ্ছে তাবৎ টক ও কষায় মিশ্রণ।



একটি চাঁপা ফুলের গন্ধ আপাত তোমার খোঁপা থেকে

এক টুকরো মোহিত হাসি যে কিনা উজাড় করেছিল তার জীবন

তার মূল্যায়ন হয়নি।

অন্ধকার গিলে খাচ্ছে ভালবাসা

এক উদ্ভট গন্ধ উঠে আসছে লবিতে

আর সেই লেবু চটকে চটকে তিতো তিতো বিস্বাদ।






জালফাঁস

তুমি জাল ফাঁসে ঝুলে আছো--

কিছু পোড়া মাছের গন্ধ তোমার নাকের ওপর রুমাল উড়িয়েছে

খেয়ে দেখো অন্য স্বাদ, লোনা পাখির ঠোঁট

যেমনটা হোক একবার চেটে নেওয়া যায়

উষ্ণতা পেতে পেতে তুমি আগুনে ডুবে যাচ্ছ

তারপর একদিন নিঃশেষ, তোমার জন্যে অনন্ত আছে

বিশ্বাস অনন্তে ঝুলছে।

বেড়াল থেকে বাঁচাতে গিয়ে বারবার তুমি বিড়াল হয়ে যাচ্ছ !

তুমি রক্ষা করছ, একদিন তুমিই ভোগ করবে বলে।






ঘুম

তুমি লিখে যাচ্ছ, তোমার বালিশের নিচে স্বপ্ন ঘুমাচ্ছে


স্বপ্নগুলি বাস্তব হতে হতে তোমার ঘুম ভেঙে যাচ্ছে

কখনও ভোর ও সন্ধ্যের মাঝখানটা ভাত ঘুমের মত

উদাস হাওয়া ছুটলে তুমি হারিয়ে যাচ্ছ--

যার সাথে প্রেম করো, চোখ বুজলে তাকে আর খুঁজে পাও না

একান্ত কিছু ছবি তোমার জীবন যাত্রা, চলচ্চিত্র হয়ে প্রদর্শিত হচ্ছে

একই মোহে উলঙ্গ মাঠের মাঝখানে পাপ জন্ম নিচ্ছে--

হাঁপিয়ে উঠলে তুমি বিশ্রাম নাও--

কোথাও থেকে যেন বিচ্ছেদের গান বেরিয়ে আসে।

প্রেম থেকে বিরহ আর জন্ম থেকে মৃত্যু বেরিয়ে আসছে।







বিরহ

তোমায় ছুঁতে না পারার কথা বিরহে লেখা আছে

কবিতার মাঝে ফুটে ওঠে আমার নিবেদিত প্রেম

ও গো সখি, তোমার বিরহ উৎস থেকে

ধুম উষ্মা তাপ ও আগুন পাই,

তারপর বিরহ কামনায় জ্বলে যাই।

মানুষের মত একটা সুন্দর ফুল যজ্ঞকুণ্ডে

পুড়ে যাচ্ছে। নিবেদিত হচ্ছে।







আগুন

আগুন টুকরো টুকরো হয়ে ভালবাসা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে

তুমি বলবে ব্যাভিচার, অথচ ব্যাভিচার থেকে জন্ম নিচ্ছে

এক একটি পূর্ণাঙ্গ মানুষ !