অনিন্দিতা সেন
সোরিয়াসিস
থরে থরে সাজানো ক্রীম
নামী দামি প্রসাধনী
দরকারই পড়েনা আর!
তোলা হয়না ড্রেসিং
আয়নার
পর্দাই কখনো,
পাছে নজরে পড়ে যায়
কালো ছোপ ধরা
বীভৎসতা!
অফিস যাওয়া, বাড়ি আসা সবই
চলছিল নিয়ম মাফিক, আর
পাঁচটা মেয়ের মতই!
স্বাভাবিক,
ঐ সবাই যা করে আর কি!
কাজল টানা
চোখ......বানভাসি সময়
সমুদ্র সৈকত.....বলে
যেত অনেক কথা!
হঠাৎই যেন......
বদলে গেল সব!
রোদের তীব্রতা....
ছাতাবিহীন রাজপথ
সানগ্লাসের গরিমা......সব কিছু
ছাপিয়েও চোখদুটি
বাঙ্ময়।
পচনের অভিজ্ঞতা আগেও
হয়েছে অনেক!
ভাঙচুর জীবন......
সমুদ্র তাই কাছে টানেনা
আর!
ভাল আছো? ভালবাসা?
ভুল ভাঙার অবসরে
ইতিহাস গড়ে যায়
দীর্ঘশ্বাসে আগুন
দিগন্ত ছোঁয়,
কখনো বৃদ্ধ না হওয়া
ভালবাসা
হাসিমুখে
বলে......ভাল আছো?
আমি রেখে দিতে পারি
পরজন্ম........ আশ্বাস.....অঙ্গীকার।
না ফুরোন ভালবাসা
হৃদয়ের
আনাচে
কানাচে...........
বৃদ্ধ বটের ঝুরি
বেঁধে নামে,
টোল খেয়ে যায় পড়ন্ত
বেলায়
অফুরন্ত
ইচ্ছে.........
জীবন রাঙানো.....
আশ্বাস আর
অঙ্গীকারের ইচ্ছে।
এখন যেমন আছি
কতদিন জ্যোৎস্না
মাখিনি
বাতাস ও ছুঁইনি
বহুদিন
ছুঁয়ে দেখিনি বৃদ্ধ
বট
এখন যেমন আছি!
গভীরে বেঁধেছি
বৃষ্টি পতন
শুকনো পাতার খসখস
খলখল হাসে ফেলে আসা
দিন
খিড়কিতে অপেক্ষমান!
নদীটি কখন চুরি হয়ে
গেছে
বুঝিনি স্নানের আগে
মনে মনে রোজ স্নান
করে উঠি
শুখা জলে অবগাহন!
আগামীতে থাকব হয়ত
অতীতে যেমন ছিলাম
অভিমান ভাঙে কবিতার
ঘরে
অসময়ের পিছুটান!
দিন চলে যায় আগু
পিছু
চিলের ডানায় ভর
স্পর্শ বিহীন ঘাস,পাতা,রোদ
এখন যেমন আছি!