দেবযানী কর সিনহা
কামধেনু ঝড়
নিরঙ্কুশ, তোমার আশ্রয় এই
জঙ্ঘাদেশে
চকোলেট খেয়ে চুমুক
দিয়েছ নেশার গ্লাসে
এই যে নারীর মতো
দেখতে শুঁড়িখানা,
হাসপাতাল, বা গৃহ যাই ভাবো
সোহাগ না পেলে
সমাজচ্যুত তুমি
চুরমার নেশাকাল এরপর
বিরক্ত দর্জি
তাই হ্যাঁ ভর্ৎসক, বৃক্ষ না ছালবাকলের
হাড়
পতিতকে বুকে তুলে নিলে তুমি
লিপ্তপদী ব্যাঙটি
নাও হতে পারো
শুধু শঙ্কা, এই জীবন, মৃত্যুর প্রতি
সমবেদনা
বুক জ্বলে, ঠোঁট শুকায়, কামধেনু ঝড়
ছাইগাদায় কাদের
স্বেচ্ছামৃত্যুর স্তূপ জমা হয়
শ্মশান চুল্লির
আগুনের শেষ স্পর্শে শীৎকার
কেউ কেউ মিশে না
গিয়ে গুলেও তো যায়
একবার মাখো বৃষ্টি
আকাশের কাছে ধার
অস্থিরমতি, সহ্যের আগে তসরিফ
দাম পায়।
ফুলে ফুলে ঝরে
উন্মন বসন্তপ্রবণ
বাদন করি তোমাকেই
সমাধিভূমির দাবি
রাখি মৃত্তিকায়
বাইরেতে উড়ে গেছ
কালচক্রে অসূয়া হাঁসকলে
ডিশমিশ সব কিনা
ডাইরি খুলে দেখো, দেখেছ?
অন্দরমহলে কারুকাজ
নকশিকাটা রংদার
সংস্কারের মতোই সব
গেলেও ঠিক থাকলেও
নারীর মনের মতোই
একটি মেঘের
আড়ষ্ট অমতের প্রভাবে
সে কী হুঙ্কার!
যেমন ভোগ্যা তেমন
শৌখিন ডোরাকাটা
অভিমান স্কন্ধে
চাপিয়ে নির্বাণের খবর ছড়ায়
কারা ফুলে ফুলে ওঠে, ফুলে ফুলে ঝরেও পড়ে।
সাবোতাজ
এই বুঝি রাত এসে গেল
সখারা ডাকবেনা আর
পাখিরা ঢুকে গেল
বাসায় উন্নাসিক আমি
ঘন ঘন চাঁদ দেখিনা!
এমন লোক দেখিনা
গাছের নিচে বাঁচতে চেয়েছে
বাসা মানে কী বলো
বাসা হল নির্দ্বিধায়
হাঁকডাক করা বাঁজা
মুরগিদের শেষ ঠিকানা
যে গ্রহে নৌকো
চালাতে হাল লাগে
আগুন চূর্ণ দিয়ে
আহ্বান করে প্রিয়,
ডোবায় জাহাজ তবু
কোনো কোনো প্রেমে
বোতাম না খোলাকেও
বলা চলে সাবোতাজ।