রবীন বসু
রাত্রি জাগে বিমর্ষ
আঁধার
দিনান্ত ঝুলে আছে খেয়াঘাট ফাঁকা শুনশান
ওপারে অদৃশ্য কারা গাইছে অসহ্য গুণগান।
মৃত্যুর মিছিল নিয়ে নৈঃশব্দ্যের শকট
ছুটেছে
অন্নহীন গ্রামদেশ, শূন্যপাতে ক্ষুধাই
ফুটেছে।
ফোটেনি আলো শুধু অনাহূত সংক্রমণ বাড়ে
সভ্যতার ভিততন্ত্রে অজানা আতঙ্ক কড়া
নাড়ে।
বিশ্বময় মানুষের গৃহবন্দী জীবনের ছায়া
কেঁপে ওঠে কেঁপে ওঠে ভয়েভরা অসহায়
কায়া।
দিনমান অন্ধকার রাত্রি জাগে বিমর্ষ
আঁধারে
কর্মহীন শ্রমিকের দীর্ঘশ্বাস পরিযায়ী
সাঁতারে।
গ্রহ ছেড়ে অন্য গ্রহে জীবিকার সন্ধানে
কি যাবে?
জানেইনা পরিবার পরিজন কেমনে যে খাবে!
তবুও অদৃশ্য সুতো ঝুলে আছে অণুজীব ভারে
প্রকৃতি আপন হাতে ভারসাম্য এনে দিতে
পারে।
লড়াই
আমি নই ক্ষুদ্র জীব অনন্তের ধারে বসে
আছি
বিশাল ব্যাপক পাখা আমি সেই গূহাবাসী
পাখি।
ডানায় লেগেছে ব্যাপ্ত অন্ধকার চরাচর
ভাসি
প্রাচীন গোপন প্রেম বলে যেন, তাকে 'ভালোবাসি'।
আমি তো নিঃসঙ্গ হয়ে বিষাদের জলকেলি
মাখি
প্রকৃতি আপন পাঠ দিয়ে গেলে তাকে তুলে
রাখি।
অতৃপ্ত করুণ আমি ভয়াবহ প্রত্যাশায় আছি
তবুও সকাল রাত দেখি ঘোরে ভনভন মাছি।
পর+
ষড়যন্ত্র নেমে আসে, হাতে পায়ে তীব্র সে
নখ
জ্বলন কী কথা বলে, জানে ওই পরিযায়ী বক।
গুহা মধ্যে বসে আছি দূরত্ব বাড়ছে শুধু
দূরে
সভ্যতার শেষ লগ্ন ক
আমি নই ক্ষুদ্র জীব অনন্তের ধারে এসে
বসি
আমার লড়াই দেখে মুখ টিপে হাসে এলোকেশী।
দারুণ নিষাদ
শান্ত পৃথিবী থেকে জ্বলে উঠল অশান্ত
আগুন
তবুও সময় ঘিরে একা আসে বসন্ত ফাগুন।
চলে যায় আনমনে সাথে নিয়ে আনন্দের ঢেউ
যেন বা কেড়েছে আজ দখিনা বাতাস আর কেউ।
উত্তাল উৎসব নেই ঝিমধরা ঢিমেতালে বোল
কে যেন এসেছে দেখি চুপিসারে পালটিয়ে
ভোল।
অজানা অদ্ভুত পথ দুঃখভরা বাগানের দিকে
মানুষ চলেছে শুধু ঝুলে আছে ভয়ের শিকে।
ত্রাস নিয়ে ভয় নিয়ে কেটে গেছে মায়ার
ভ্রমণ
একে তো দ্যাখেনি কেউ পড়ে আছে ক্ষুধার্ত
শ্রমণ।
ক্ষুধা তাই ভয় তাই চেপে ধরে সুমসৃণ গলা
অন্ধকার ভারতবর্ষ দেখে শুধু ধিকিধিকি
জ্বলা।
পরিত্রাণ নেই আজ ভাঙা ঘরে সমূহ বিষাদ
তির যেন লক্ষ্য স্থির টানটান দারুণ
নিষাদ।