মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০

অনিন্দ্যকেতন গোস্বামী


অনিন্দ্যকেতন গোস্বামী  

শুরুর শেষ

মনে কর ত্রাণ আসার অপেক্ষায় মুখগুলো রাস্তা হয়ে আছে,
মনে কর নোনাজল ফুসলে এনেছে সাগর,
মনে কর ঝড় উঠেছে বাতাসকে ডেকে নিয়ে,
মনে কর ১ নং সতর্কতা জারী করা হয়েছে উপকূলবর্তী মানুষের মগজে,
মনে কর ঝড় আসবে আম্ফান বা ঐ জাতীয় কিছু,
মনে কর মানুষগুলো হেটে হেটে পায়ের চামড়া ফাটা জুতোর মত অকেজো,
মনে কর লোক বাইরে থেকে দেশে ঢুকছে ফ্লু'র মত,
মনে কর টেবিল থেকে টেবিলে হাটছে ত্রাণের ফাইল...
মনে কর ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টে নির্দেশ এলো
এখন থেকেই তৈরি থাকুন, যেন একটি মানুষও  নিরন্ন না থাকে....

আসুন,  আবার কবিতাটি প্রথম থেকে শুরু করা যাক...     







প্রশ্ন

আমরা তাকিয়ে আছি টিভির দিকে
টিভি ক্যামেরার দিকে
ক্যামেরা পায়ের দিকে
পা তাকিয়ে আছে বাড়ির দিকে
ঘরের মধ্যে এইসব
ছিটানো প্রশ্ন দেখতে দেখতে মনে হয়,
আমাদের ঘর এখনও কেন
সংঘবদ্ধ পথ হয়ে যাচ্ছে না?    







দেহের যত্ন নিন
     
চিন্তা নেই,  দেহের যত্ন নিন
সকালে এক গ্লাস ছোলার ছাতুগোলা-
রাস্তায় ছাতুঅলা আছে।
তার পর ডিম আর পাউরুটির স্যান্ডউইচ-
রাস্তায় বেকারির ছেলেটা আসছে রোজ...
তারপর দুপুরে কব্জী ডুবিয়ে কৈমাছের ঝোল খান।
মাছঅলা কোথা থেকে মাছ নিয়ে আসছে কে জানে!
বিকেলে পাকা বেল অথবা তরমুজের পানা খান।
ফলঅলার ঠেলিয়া মোড়েই থাকে।
রাতে দুধ রুটি।
দুধ এখন সস্তা।  ঘোষে দিয়ে যায়।
এই লকডাউনে আপনি শুধু দেহের যত্ন নিন...
ইমিউনিটি বলে কথা....
         
চিন্তা নেই, আপনার
লকডাউন পালন করতে অনেকেই
লকডাউন ভেঙে দেহ-যত্নের জন্য
সমস্ত উপকরণ এনে দেবে আপনার হাতে।

প্লিজ,  আপনি শুধু ওদের হাতে
আপনার মগজ তুলে দেবেন না...