সুস্মেলী দত্ত
দূষণ পর্ব
সে কোন দেশে
তেপান্তরে ছিল যে তার বাস
ফুলের দোলা সরস
ঠোঁটে ডাইনে বামে কাশ…
মাঝের গলি সরলরেখা বিন্দু মেশে ঘামে
রূপকথা সে রূপকথা সে
শহর গাঁয়ে জানে
বলছি আমি নিজের কথা
তোমারও সই সখি
আপনমনে উদাস স্মৃতি
একলা ঘরে বকি –
ছিল যা সব নষ্ট হলো
পৃথিবী সর্পিল
কুজন থুড়ি বাতাস
ভারী শকুন ওড়ে চিল
শূন্য গোলা নিঃস্ব
মরু উধাও কালো মেঘ
সাঁই সপাটে ঘূর্ণি
ঝোড়ো দুষ্টু গতিবেগ
কেন এমন হচ্ছে, নাকি ধ্বংস কলিযুগ
কল্কি বুঝি ঐ এলো যে
ধুকপুকিয়ে বুক
ঘর ভেঙেছে কুল
ছাপানো মানুষ মরা নদী
সংক্রমণে বন্যা খরা
শান্তি সুখে যতি
গলছে হিম ফুটছে জল
কাঁপছে ভূমি থরো
সবুজ নেই সবুজ নেই
আবর্জনা জড়ো
বাঁচাও মাগো রক্ষে
করো বিপথগামী আমি
দূষণ জ্বরে আজ
বুঝেছি প্রাণটি ছিল দামি।
এটা প্রেমের কবিতা
নয়
সুড়ঙ্গ সে গভীর কালো
চোখের তারা চোখ
জানলা খোলে পাগলা
ঘোড়া আদি আহাম্মক
ঘাসবিছালি জাবর কাটে
আস্তে নাকি ধীরে
একটু নামা একটু ওঠা
সন্ধে রাত্তিরে
ইলশেগুড়ি বৃষ্টি
নামে পাহাড় জুড়ে ঘাম
ঘাপটি মারে
সাম্যবাদী আনোখী আনজাম
গোপন পথে আলতা দুধে
বরণ ডালা কে ও
ও সোনামন দিব্যি
মাথা চব্য সুখে পেয়
সপসপানো ব্যাঙের
ছাতা দুষ্টু পাড়া মাত
অকাল ঋতু কালবোশেখী
কেষ্ট চারি হাত
বাজল সুর, বাজল বাঁশি শান্ত
নিশাচর
সংক্রমনে দত্যি থুড়ি
কল্কিও বর্বর।
মরীচিকা
আচ্ছা, আকাশ শুদ্ধ হবে কবে
বাতাস রঙিন মৌসুমী
মেঘ ঝড়
কিম্বা ভুগোল
বিপন্ন সংলাপে
বলবে, বলছে দুই তিন ভুত বর
সরল পূথিবী মুহূর্তে
এক ক্রোশ
পাড়ি দেবে যারা
আমাদের বোনভাই
হাতে হাত মুখে কত
কথা কত কথা
নেই ভেদাভেদ
রোদটোদ পরিযায়ী
মুখোশরা সব ডুববে
সাগর জলে
ভাসবে, ভাসছে কাগজের ডিঙি
নাও
আনন্দ প্রেম জড়ো
হয়ে একরাশ
উদার আভোগে
বটবৃক্ষের ছাও
মানুষ তখন আমার
আমিটি ছেড়ে
চলে যাবে দূর
তেপান্তরের পার –
রূপকথা আর স্বপ্নরা
পাশাপাশি
সহাবস্থান বসত
সংস্কার
আশায় আশায় ভবিষ্যতের
দিন
গুনতে গুনতে ঈশ্বরী
সঙ্গীন
দাড়িয়ে আছে আমি ও
আমার শব
ভিত্তিবিহীন মিথ্যে
এ অনুভব।