মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০

সুলেখা সরকার


সুলেখা সরকার

প্রবেশপত্রের সুখ

চারকোলে মৃতকোষিরা ঘুমিয়ে গেলে
ওদের পাশে রাখি গোলাপ, হাসনুহানা
প্রভৃতি পাপড়ি মারণাস্ত্র।
মুখোমুখি অকারণ ব্যাথা
বর্ষা শেষে ছেড়ে নেয় পোশাক।
বাঁকা নিউরোন বেয়ে নেমে আসে আত্মসমর্পণ।
পেপার কাটিং-এ গাঢ়বতী সুখ ক্রমশ
প্রবাসী কোলাজ হয়ে ওঠে।
অন্তিম পরিচ্ছন্নতা শেষে শুরু হয় হাইব্রিড উৎসব।
ঘন -ঘন -ঘন শব্দ
বিছানায় রুপালি নথ।








অবশেষ

১)

যাই, দিগন্ত পার করে মৃত্যু রেখে আসি।
এই মৃত্যু নিরক্ষর। ভাষাহীন।
জীবন সাপটে যতটা হাত বাড়াই
ও ব্যবচ্ছেদ লেখে।

আমি সেই পাহাড়ি নিস্তব্ধতা,
শূন্য যার পাশাপাশি হাঁটে।


২)

কথা দিলাম, ফিরব না।
মৌনতা গিলে নিতে নিতে সন্ন্যাসী হলে
প্রবল শূন্যতায় ছায়াটুকু নিয়ে ফিরে যাব।
আমার বয়স গুনতে যে তুমি
প্রাচীন হয়েছে ছিন্ন যাপনে
সেখানে খুলে রেখে যাব সব অলংকার। আকাশ।
ঋতু। মাটি। বায়ু। চেনামুখ। চুম্বন। নিশ্বাস।
ওখানে একাকীত্ব নেই বলে শুনেছি,
দেবতার পাশে দেবতার বাস।   







হাতকাটা

নিদ্রা এসে গেলে
বুক পড়ে নিও,
হাতকাটা মেঘ পড়ে আছি।
পোষা পোশাকের মতো
শ্যামলা টানটান গা গচ্ছিত রাখলাম।

কামারশালায় ঠংঠং
দীক্ষা নিচ্ছে কেউ লৌহযজ্ঞের।
মুখোমুখি যৌনতা + যজ্ঞতন্তু = সালোকসংশ্লেষ
তারপর,
ফুল। ফল। বীজ।
বেশ্যার জন্ম।
তুমি রূপাজীবাও বলতে পারো।