মণিজিঞ্জির সান্যাল
একটা মেঘলা আকাশ
শব্দের মধ্যে তোলা থাক সেই ঘ্রাণ
শব্দের মধ্যে তোলা থাক সেই বিষন্নতা
ঝরে পড়া পাতার মতো নিস্তব্ধ নিশ্চুপ
নীড়ে ফেরা পাখির মতো বিষন্ন অন্ধকার
একটা মেঘলা আকাশ
একটা মেঘলা মেয়ে
অভিমানী চোখে অনাবিল
অনাসক্ত দু'ফোঁটা অশ্রু
অধরা
একটা বৃষ্টির ফোঁটা
আমার চিবুক স্পর্শ করে ঠিক ততোটাই
যতটা একটা বুভুক্ষু পেট ভরে খেতে চায়
কোনো একটা দিন
একটা শূণ্যতার মধ্যে আরো একটা শূন্য
ততোটাই জায়গা করে নেয়
যতোটা শূন্য হলে আরো
একটা
হৃদয়কে চেনা যায়
শূন্যতর থেকে
জীবনের গান ঠিক সে ভাবেই গাওয়া যায়
যদি সেই গানে কোনো
হিসেবের কানাকড়ি চিহ্ন না থাকে
একটা কবিতার
ঠিক ঠিক জন্ম হয় তখনি
যখন কবিতার
বাঙ্ময় অধরা থেকে যায়
কবির কল্পনায়
শ্রাবণ
মেঘমল্লারের সুরে সুরে
কখন যেন শ্রাবণ
আমার সামনে এসে দাঁড়ায় ।
আমি তখন বৃষ্টিকে নিয়ে
লোফালুফি খেলি
স্বপ্নের মধ্যে আমি তখন এঁকে যাই
একের পর ছবি
আমার প্রাণে তখন
রঙিন বৃষ্টির খেলা
ফুলের মাঝে ভ্রমরের গুনগুন সুর
স্বপ্নের মধ্যে ভিড় করেছে
কিভাবে কখন
আমার চোখে অনুরাগের ছোঁয়া
' কে তুমি আমারে ডাকো '