তৈমুর খান
প্রিমিটিভ
কিছুই সাজিয়ে রাখিনি
মেধাও ঢাকিনি মাথার চুলে
দিনকে করিনি আড়াল জীবনের বিকেলে
নুন আনতে পান্তা ফুরাইনি
দহন এসেছে বলে কুয়োও খুঁড়িনি
তোমার বিছানা থেকে পা রেখেছি দূরে
নিজের গান গাইনি কারও সুরে
অযথা সমুদ্রে গিয়ে ডুবেও মরিনি
নিভে গেছে একলা প্রদীপ বলে
কেরোসিন চাইনি তোমাকে
অন্ধকারে ডুবে থেকে থেকে
আজ আমি হয়ে গেছি আঁধারের ছেলে
পাথর হয়ে আছে
এত মৃত্যুর পরও সকাল হাসছে
প্রজাপতি উড়ছে
বিবাহ বাসর বসেছে
নতুন শাড়ি পরে বেরিয়ে আসছে সূর্যমুখী
এইসব হাসির উপর কান্না ঝরে পড়ছে আমার
চিকমিক করছে মনখারাপের দেহ
ভাঙা নদীর উপর কে ছবি আঁকছে ?কে?
নীল রঙের শার্ট পরে হাঁটছি শবের উপর দিয়ে
কোন দিকে যাব ?
পাথর হয়ে আছে সমস্ত
দেশ, পাথরেই ফুল
ফুটছে
বিস্ময়সূচক
ঘোরের ভেতর থেকে
একটা অন্ত্যজ পর্যটন সেরে ফিরে আসি
লেখার বদলে আঁকিবুকি
অজস্র মনখারাপ করা
অথবা রক্তে ছয়লাপ পাড়া
বিষাদ সকাল, বিস্বাদ চায়ের কাপ
উঠোনে সংবাদ আনে কাক….
সভ্যতা ভেঙে যায়
মনুষ্যত্ব ধুলো হয়ে ওড়ে
ছন্দ নেই, কবিতাও নেই
বিষ-অক্ষরে শব্দ
ছন্নছাড়া
ঘোরের ভেতর থেকে
নিজেকে খুঁজতে থাকি, নিজের হারানো আত্মাকে
নৌকা
খালি নৌকা কোথায় যাবে?
নৌকায় ভাটিয়ালি চেপে বসুক
আমি ঢেউ তুলছি, ঢেউ
নৌকা ভেসে-ভেসে পেরিয়ে যাক যুগের সংকট
নীলভাস্কর
দুর্বলতা মরচে পড়া ঘুম
না এলেও আসে, এলেও আসে না
আলোকে পরাহত, বস্তুত নিঃঝুম
অশোক বনের কোনো নারী
নিবেদিত জলে, গোপন আকাঙ্ক্ষার ঢেউ ফেলে গেছে
স্পন্দনে কেঁপে ওঠে হাত,নীলজল
আবার কদম ফুটে ওঠে
ছায়া পড়ে
মুগ্ধ মনোরম
স্নেহের আস্তরণ খুলে
দেখি
সমীহ পবন যায় আসে
অথবা দুরন্ত জটিল কোনো সর্বনাম
লিখতে থাকে যা কিছু লেখার স্বয়ংক্রিয়
অথবা লেখে না
রোদ্দুর ও জলে মেলে দেয় দেহ
দেহে দেহে পর্যাপ্ত কাম