মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০

দিশারী মুখোপাধ্যায়


দিশারী মুখোপাধ্যায়

খুন হতে চাওয়া একটা লোক

নতুন একখণ্ড জমি চোখের সামনে ঘোরাফেরা করছে
বিভিন্ন লোককে ডেকে ডেকে
নিজের দৈর্ঘ্য প্রস্থ দেখাচ্ছে
দাগ খতিয়ান মৌজায় টর্চ ফেলছে
সে কি তাদের কাছে বিক্রীত হতে চাইছে
নাকি কেবলমাত্র স্বয়ংবরের আয়োজন করছে
কাকে খুন করবে তা ঠিক করাই আছে আগে থেকে

খুন হতে চাওয়া লোক এই পৃথিবীতে মাত্র একজনই
তার চোখের সামনে এভাবে রামধনু হয়ে ঘোরাফেরা
এভাবে স্বয়ংবরের আয়োজন কতটা উচিত

মেরে ফেলবার আগে
যে লোকটার কাছে বারবার পরাজয় স্বীকার করে মৃত্যু
রাস্তার তৈরির জন্য পাথরের চিপস হয়ে
ছড়িয়ে পড়েছে সেই লোকটা
প্রতিদিন একখণ্ড করে নতুন নতুন জমি তাকে আমন্ত্রণ করে

নতুন জমি কিনে নেবে নতুন ক্রেতারা
নতুন নতুন বাড়ি তৈরি করবে মনোরম
জীবনে অর্জিত সব টাকা পয়সা
জলের নিচে ফেলে দিয়েছে যে লোকটা
তাকে আর প্রলুব্ধ করো না






শেষ রোদটুকু

চার-ব্যাটারি টর্চের স্বচ্ছ আলো
রোদ হয়ে এসে পড়েছে
আমাদের বাড়ির উঠোনে
এসো , এই রোদ আমরা সবাই
সমানভাগে ভাগ করে নিই

সূর্য হয়তো আর খুব বেশিদিন
আমাদের জন্য ব্যস্ত থাকবে না
লক্ষ লক্ষ বছর ধরে সে আমাদের সঙ্গে ঘরসংসার করলো
এবার যদি সে মৃত্যুকেও খানিকটা সময় দিতে চায়
অন্ধকারের সঙ্গে থাকতে চায়
আমাদের আর কীইবা বলার থাকতে পারে
সবাইকেই তো একদিন না একদিন
ছুটি দিতেই হয়

উঠোনের চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে সিলিন্ডার আকৃতির রোদ
আমাদের ছেলেবেলায় আমরা
খই ভাজতে দেখেছি কত মানুষকে
সেইসব স্মৃতি আজ
বেজে উঠছে ভায়োলিনের মত

অনেকদূর থেকে কারা যেন আসছে এদিকে
ওদের জন্যও একটু রেখে দাও 
এই শেষ রোদটুকু থেকে







হাতে রয়েছে আইন অমান্য

একটা পবিত্র অবৈধতা জন্ম নিতে পারত
তোমাকে কেন্দ্র করে

বাতাসের গতিবিধি , তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ
তেমন একটা আবহ
প্রায় সৃষ্টি করে ফেলেছিল

সকালে সূর্য এসে যখন দরজায় ডাকাডাকি করছিল
পৃথিবীর সমস্ত ডিক্সেনারিতে
নদী শব্দটি ভিজে উঠছিল জোয়ারের জলে

অপবিত্র বৈধতাদের হাতে অনেক আইন রয়েছে
রয়েছে আইন তৈরির মেশিন
তোমার জন্য তাই আমি
একটা বন্ধনীও ব্যবহার করার সুযোগ পেলাম না

এখন হাতে পড়ে রয়েছে
আইন অমান্য আন্দোলন