মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০

পৃথা রায় চৌধুরী


পৃথা রায় চৌধুরী

বালিঘড়ি মেয়েটি

এ এক অনভ্যস্ত সমুদ্র, ডুবে যাচ্ছি সাঁতারের অজুহাতে।
অদৃশ্য হাতে মুছিয়ে দিচ্ছো মূর্চ্ছনা,
নগর অভিযানের গোপন পথে দেখা যায়
মহা উজ্জ্বল বৃষ্টিফ্রেম।

এই রাখলাম মাতাল স্টাইল, এই নয়া ছন্দ,
এই লাজুকলতা এলোকেশ। ওগো বজ্রনাভী,
হাজার হাজার ব্রত নস্যাৎ হয়েছে তোমার অস্তিত্ব মননে।
গোল্লায় যাবো। পথ বলে দাও।

বিলিয়ে দিচ্ছি রোদচশমা, ট্র‍্যাভেলকিট,
ফ্ল্যাশ ছাড়াই শাটার এনে দিচ্ছে ম্যাজিক।
প্রেমের কুটীরশিল্প নিয়ে গবেষণা করুক দখলদারি চশমা।

এই দেখো, অনভ্যস্ত সমুদ্র, কেমন পুরুষবাগানে বসেছি।
এই আমার দাগহীন সার্টিফিকেট।
রাখো, এ রেখে দাও এখানেই। "সখি হম মোহন অভিসারে জাউঁ..."






ভদ্রলোক, তোমায়...

আঁজলা আঁজলা ফস্কানো তুখোড়
"তোমাকে চাই" দূর ছাই চটা ওঠা
বেঞ্চিকাঠ। পাগলা পাগলা টিক-ট্যাক-টো
আনচান প্রাণ, অস্বস্তির মোড়ে আগুন
হাতটা ধরলে না একবার, কেন এলে নিখুঁত!

কবেকার নহবতে তর্জনী লেগে নিখাদ
সপ্রতিভ ভাবিয়ে যায়, নাহ এ তো চুরি;
তাই জল রেখে দাও, ব্যস্ত দীর্ঘশ্বাসে ঘটি মুচড়িয়ে
মাথাতেই রাখো মাথা, চলকে যেতে নেই দোলক
কিচমিচে ভোর পূর্ব নিশানায়, ভালো থেকো।

স্পর্শকাতর, স্পর্শ কাতর পরমায়ু
হয়ে থেকে যাই অর্বুদ
বুদবুদ বাসা পালটে টালমাটাল।







রুপোলি রেখা, কৃষ্ণসার চবুতরা

এই দেখো ডাকবাক্স এখনো ভর্তি, হ্যান্ডবিলে বিভিন্ন দরের বিশেষ বিশেষ খোলা
খিড়কি। দূর থেকে চলে আসে যে বালক, তার নামের দস্তখত মকশো করতে হাত কাঁপে,
কাঁপুক।

আজ স্তব্ধদিবস। সীমারেখায় বসে নির্মাণ হয় ছায়াচিত্র। এসব সময়ে
ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের সাথে গোটানো চার আঙ্গুলে ভর দিয়ে থাকে চিবুক। তর্ক
হোক, পক্ষীরাজ অথবা ইউনিকর্ন!

পাতা উলটোবার অনুষ্ঠানে সামিল হতে হয়, ওই হাততালির মাঝে মিলিয়ে যায় অজানা
পরিব্রাজক। দূরের বালক দুহাতে ধরে থাকে অবজ্ঞা, হাও ফিকল মাইন্ডেড য়ু আর!
আহ, শকিং অক্টোপাস, স্পর্শ দিতে এগিয়ে আসে নিরাকার ঈশ্বর!

আকাশপথে বুঝি শ্যাওলার আধিক্য। কাঁহাতক মেঘেরা ভারি পেট, কাঁহাতক দুধেল
রোদ। পোঁটলা বাঁধা কাঁধ নাচানো দেখা যায়, খসে খসে পড়ে যজ্ঞকাঠ। অশ্বমেধের
ঘোড়া ধরেছি।