কাকলি মান্না
উল্টোনো আকাশের
নিঃশব্দ রঙ
শূন্যতা যেন এক
অঘোষিত সংলাপ
যা কখোনো বলা হয়নি,
অথচ প্রতিদিন সাজানো
হচ্ছে
শব্দের বীতশোক, অচেনা বন্দর,
রাতের উড়ালপুল...
বুঝেছি এসব ক্ষতের সংলাপ
অন্ধকারে তোমার হাত
বাড়িয়ে দাও
কপালে স্পর্শ করো আঙুল
শরীরে জাগে দুকুল
ছাপানো খরস্রোতা
ভেসে যায় সংলাপ
ভেসে যায় অসমাপ্ত
পঙক্তি
ভেসে যেতে হয়
স্রোতের অভিমুখে এভাবেই
কখন ঘুমিয়ে পড়েছি জানিনা
দেখি এক অনল প্রবাহ
শরীর জুড়ে
বৃষ্টির জল মাটিতে
লুটোপুটি
আকাশ ভিজে গেছে
অপেক্ষা
যোগাযোগ মুছে গেলে
বিন্দু বিন্দু অপেক্ষা সাজায় বিশ্বাস
শুশ্রূষা এক অতিথি
আলো নিভে যাওয়া ঘরে
ঐ যে মৃত্যু মিছিল
ওতে সকলেই আমার অপরিচিত
বিশল্যকরণী খোঁজে
শরীর
অভিমানী নদী ফিরে পায় স্রোত
হাইফেন এ ঝুলে থাকা
প্রেম
প্রতি বসন্তে ঝরা
পাতার হলুদ
হয়ে যায় প্রিয় মুখ
নেশার পলাশ ডেকে
নিয়ে যায় বাথানবাডি
ক্ষীণ কায়া নদীর মত
শুয়ে লাল ধূলা পথ
তোমরা যারা ওপাশে
হাঁটবে বলে খুঁজছ পথ
তাদের শরীরের ভেতর
অন্য জলতরঙ্গ
জেনেছি প্রিয় অসুখের
নাম ভালোথাকা
ক্ষয়ে যায় একা শপথবাক্য
আগুনের তো কোন লিঙ্গ
হয় না
জ্বলে ওঠাই তার ধর্ম