মঙ্গলবার, ২১ জুলাই, ২০২০

রীনা তালুকদার


রীনা তালুকদার

ছল

ইচ্ছের ফাঁস গলায়
বাদুড় ঝোলা হয়েছে শ্রাবণ সময়
করোনা কবলে বন্দী ধরণীতল
মরণ করোনা তুমিই
বলছে রাষ্ট্র, সমাজ, আইন
দূরত্ব দূরত্ব খেলা ছিলো বিলাসী দু:খ
অতি সংকটে অতি আবশ্যক এখন
ধোয়াধুয়ির অত্যাবশ্যতায় স্ক্রীন ক্ষারময় ধবধবে ফর্সা
যেনো পুষ্টিহীনতার বিজ্ঞাপন আঙ্গুলের ভাঁজে ভাঁজে
প্রিয় সব খাবার ছুঁয়ে দেখাও আতংকের
দরজার হাতল, বাজারের ব্যাগ আর এই আমরা
কোনটা স্পর্শবিহীন রাখবে
আমাদের বিরহের কাল বাধ্যবাধকতায়
যারা স্বেচ্ছা মুক্তি চেয়েছিল এটা সেই মোক্ষম সময়
কৌশলী দূরত্ব হতে পারে
ভালোবাসা একশ ভাগ বাসা যায় না
দোলায়িত মন যেতে চাইলে যাক
না করা ঠিক না
করোনা কালে ভয়ংকর মৃত্যুও মনকে পূত করেনি!
মুখের সামান্য মাস্ক সেও দূর্নীতির ঘেরে
ভালোবাসার মন সেতো চিরকালই লিটমাস পেপার
যাহাকে সেবা বলা হয়
তাহা আবেগের বহু ছল।







জল

শুধু জলই পাওয়া গেল
কত কষ্টের ওজনে জল ঝরে
বুঝলে কেউ জল নিয়ে এতটা তামাশা করতো না।

পাথর সময় এত বেশী ভারী
বিব্রত, বিস্মৃত ওপাশে নীরবতা
মুক্তির দুয়ারে দাঁড়িয়ে আরো বেশী যুক্ত থাকা
অহেতুক বেদনার ভার বহন
পাহাড় ডিঙ্গিয়ে এসে আলপথ পরিশ্রান্ত চলতি পথে

মেঘে মেঘে বজ্র ঘর্ষণ নেই তবুও
জলকণার ঘাত প্রতিঘাত
অল্পতেই মানুষ বুকের বাম পাশে টনের্ডোর টারবাইনে ঘুরে

অক্ষিগোলকের পানির প্রহারেই মরি মরি !







থাক না হয় না যাও

আজ বৃষ্টি থাক না হয় না যাও
এমন ঘন সন্ধ্যার আলো আঁধারি
রাখো একটু মায়াবী হাত হাতের কাঁচিতে
কিছুইতো নেই নেয়া দেয়ার
দেখে দেখে আইবল স্থির ষ্ট্যাচু
এতটা চাই বলেই কি দূরে দূরে ঘোরা ফেরা
না না জড়াবো না কোনো দায়ভারে
স্বাধীন পাখি যেখানে খুশী সীমান্ত পেরিয়ে
উড়ে যাও যাবার পথে ক্লান্তির ঘাম মুছো
পান্থ পথিক অলস আসন পেতে আরাম আয়েশে
মেঠো জল ছুঁয়ে হিম শীতল বুকের ঘ্রাণে
অকৃত্রিম শ্বাস নাও নিশ্চিন্ত নির্ভয়ে

কেউ কেউ জীবনে বিন্নাছোপ বসতি
আসে চলতি পথে যায় মন চায় যে দিকে
পরিবার পরিবার খেলা নেই তাতে
তবুও থাকো কিছু সময় শুভার্থী
পরাধীন হাওয়াহীন যখন যেখানে।