শকুন্তলা সান্যাল
স্থানান্তরের মন
ফাঁকা ঘরে কখনও ভয়
নড়ে ওঠে,
ভয়ের ভেতর খেলা করে
প্রজাপতির অসম জীবন।
এই জীবনে একটু
এগোলেই নদী পাব জানি
একটু পেছলেই খাদ।
ফাঁকা ঘরে কখনও পোকা
নড়ে ওঠে,
পোকার ভেতর ঘুরপাক
খায় ওম।
একদিন পোকার মতোই
ভালোবেসে ভেবেছি ফকির হব,
বাউলের মতো হব নদী।
অনুভব সবি মনে রয়ে
গেল,
দূরে রইলো আর্শি ।
কেন হাসি কেন কাঁদি
বুঝতেই পারিনা!
শ্বেত কণিকার সমঝোতা
দুধের মতো আদ্র
চেষ্টায়
কখন যেন মৌন হয়ে
গেছি ।
ক্লান্ত মনে
ক্রাঞ্চি বিস্কুটে চড়ুইয়ের ডাক
সকাল নাড়ে।
স্নায়বিক ঝিনঝিন,
হৃৎপিন্ডের তল
হাঁতড়ানো খিদে,
আয়েসি স্টিমড
ভূট্টায় বাটারে সোহাগে নয়।
হারমোনিয়াম বেলোয়
যেন ঐ দম নিলো সময়!
দিনটি চলছে
দিনটি নড়ছে,
চাকাটি ঘুরছে মেঘেরা
উড়ছে
মেঘেরা উড়ছে?
নাকি কেবলি বৃষ্টি
কেবলি বৃষ্টি ...
অনন্ত উল্টো, সোজায় ফিরছে,কতো কাজ তার!
আমি গাঢ় সবুজ টিয়া
পাখিময় পাতাটি
দেখতে দেখতে হলুদের
দিকে এগিয়ে চলি,
কিচ্ছু খারাপ লাগেনা
তাতে।
হে নগরীও বনবাস!
আমি তো রক্ত মাংসেরি,
মেয়েটাকে কতদিন ছেড়ে
আছি!
ততধিক মনখারাপ কই!?
পাঠ করে যাই
সমাপ্ত মামলার পর আর
কোনো কথাই চলেনা,
তবু শেষের শুরুর থেকে
ব্যকরণহীন নড়ে ওঠে পথ।
হাঁটার পথে বৃষ্টি
নামে
বৃষ্টি নামে
মনের ভেতর দোলা দিয়ে
যায় স্পর্শ বকুল গাছ।
সমাপ্ত মামলার পর আর
কোনো পরামর্শই গাঢ় নয়।
তবু গাছ থেকে শিস
দেয় পরিনিত পাখি
জানলার গ্রিল গোলে
হুড়মুড়িয়ে কুড়িয়ে আনি ওকে।
আড়মোড়া ভাঙে বিলাস।
তুলনাহীন সব ঘোর
লাগা বাড়ি
সহজ পাঠের কিরণ আসবে
তাকে যে কোন অলিন্দে রাখি!!