আমিনুল ইসলাম
সমকামী চোখ
আমার ভেতর আমিই
লুকিয়ে ছিলাম
অথচ ভেতর ভেতর অনেক
স্বর
তবে কি বিপ্লবী আমি? না, বিপ্লব নয়!
সাদা-মাটা, গো-বেচারা, নির্বিকার একটা গাছ
হয়ে
ছড়িয়ে ফেলেছি
শিকড়...
ওগুলোকে -
গুটিয়ে নেওয়া
অসম্ভব
সহস্র ঘরের অন্ধকারে
সাঁতার শেখে যে চোখ
গভীর আরও গভীর জলের
মাছ!
বন্ধু বিপ্লব আর
এদিকে নামহীন পরিচয়
গহীন অন্ধকারে চোখ
খোলার থেকে সহজ ভেবে
যারা চোখ বুজেছেন
তারাও বিপ্লবকে কখনই ভালোবাসেননি...
আমার চোখ এখনও তার
পায়ে হাঁটছে একাএকা...
একটি পূর্ণচ্ছেদের
কো-ইনসিডেন্ট
একটি পূর্ণচ্ছেদ ধরে
দাঁড়িয়ে পড়লাম...
এনেকটা জল ঘোলা
হয়েছে
সামনের ক্যানভাসে
লেগেছে চশমার আক্ষেপ-
কর্ড ধরে ধরে পা
দুটি এগিয়ে যাচ্ছে
ছয়টি তারে আঙ্গুলের
আলপনা
আঁকতে আঁকতে অনেকটা
চাঁদ নিভিয়ে যায়
এখনও শব্দের পাঁজরে
গোঁজা হয়নি রঙিন পালক
তারা সংঘবদ্ধ হলেই 'উড়ান'- এই তিন অক্ষরের
মিলিত শাসন
এতক্ষন যা শ্বাসনালী
থেকে শেয়ার করলাম -
আসলে সেগুলো মিথুন
রাশিতে প্রকাশিত হবে
একটি পূর্ণচ্ছেদের
নেটওয়ার্কে সমাপতন জেগে ওঠে!
চশমাটা সামনের
টেবিলে রাখলেই তুমিও অস্পষ্ট হয়ে যাও!
স্কোয়ারড্রন
ধূলো হয়ে যেতেই
বাতাসে মিশ্রন গুলে যায়-
মেঘের ইরেজারে মুছে
যায় সব রোদ
শরীর শরীর খেলতে
খেলতে
আইস ব্রেকার শব্দে
চোখ গুঁজে দিতেই
গলে পড়ছে পুতুলের রং
গলে পড়ছে পুতুলের রং
স্বপ্নের পাতায় আলো
শুকাতে দেখে
প্রজাপতি অস্থির
চেয়ারের গোপন আস্তানায়
যত সুর সবই বেদনায়
নীল ...
ধর্মহীন জল আর
প্রবাহহীন ঝড়ের বেগে
লুকোনো ছটফটে যে
কোলাজগুলো আর্টগ্যালারিতে ভীড় করে
তাদের জন্য তুলির
গোপনাঙ্গের গভীরে ডুবে থাকা
বন্দরে মৌন জাহাজ
হারিয়েছে পথ-
যে পথে বিলক্ষণ ডুবে
থাকা যায়!
ডুবুরির
স্কোয়ারড্রনে প্রতিটি আমিই
আমাদের রসায়নে থইথই
অথই অজানা পথে হারিয়ে
যাওয়া নয়,
তাকে খুঁজে পেতে
সামুহিক ঝড়
ধূলো ফিরে এলে মাটি
হয়,
বৃষ্টির চোখে আবার
জমে ওঠে স্তর!!