লিপি সেনগুপ্ত
বুক লন্ঠন
জলপথ নিবিড় হলে
নৌকার পাল শূন্যে
পাখনা মেলে!
আর চাঁদ বুক পেতে
শুয়ে
জলজ পাটাতনে!
আজন্মের শোক উথলায়
শঙ্খের পাঁজর ভেজে
যৌবনশিশিরে!
দূরে রাখালিয়া
বাঁশি...
একমনে জলের জন্মকথা
শুনছিল জোনাকি!
এইসব ছবি কিনারার
জলে রেখে
চাঁদ উঠে বসেছে
আটপৌরে থানে!
ছইয়ের ভিতর বুকলন্ঠন
দপ্ করে জ্বলেই
নিভছে মুহূর্তে!
বিবস্ত্র চাঁদ
এইবার ধীরে ধীরে
নেমে যাবে অতলে!
আমি বিনোদিনী
কখনও নদীর কাছে ফিরে
এসে
দেখেছ?
স্রোতের হেরফের!
যুবতী নোলক পরে
চাইলে
তাকিয়েছ সোজা
জোড়া ভুরুর মাঝে?
বিনোদিনীর
কোঁচর ভরা বকুলের
সুবাস—
তুমি হাত পাতলে
বৃষ্টিধোয়া ভোররাতে!
মনে পড়ে?
স্মৃতিও
বিস্মৃতপ্রায়!
তবু ঢেউ এসে পাড়
ভাঙে
তল কাঁপে ! ভরে উঠছে
গর্ভ।
এমনটা হবে
কোনদিন ভেবেছিলে?
না এই বিনোদিনী ভেবেছিল!
জলশঙ্খ
এবার তুমিও কিছু
বলবে
এইভেবে তাকিয়ে আছি
হঠাৎ মেঘ নামল তোমার
মুখে!
এবার যদি বৃষ্টি
নামে
আমার চোখের পাতায়
তোমায় আশ্রয় দেব
যেই না ভেবেছি,ওমনি
তুমি ঝড় তুলে
সমুদ্রের সামনে
হাঁটুমুড়ে বসলে!
সেই মুহূর্তে আমার
বালি হতে ইচ্ছে
করেছে
জানো!
তুমি বালি নিয়ে
নিশ্চয়ই খেলতে
যদি না হঠাৎ একটা
ঢেউ
ভাসিয়ে দিত
বালিতে গাঁথা
জলশঙ্খ...